এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর) : যশোরের চৌগাছায় অভিযানের খবরে পালালো কপোতাক্ষ নদের বালু খেকোরা। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকাজে ব্যবহৃত ৬টি স্যালোমেশিন ও বালু বহনকাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক্টর দিয়ে তৈরি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। ২৮ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা এ অভিযান চালান। এ সময় উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের পেটভরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই মেশিন ও ট্রাক্টর জব্দ করা হয়।
অভিযানের সংবাদ পেয়ে বালু খেকোরা ৬টি মেশিন ফেলে পালিয়ে যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে মেশিনগুলো জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য শামীম রেজার হেফাজতে রাখা হয়। ১ মার্চ মঙ্গলবারের মধ্যে মেশিনগুলো চৌগাছা থানায় পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দেন। এছাড়া বালু বহনকাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর দিয়ে তৈরি একটি ট্রাক জব্দ করে চৌগাছা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এ সময় চৌগাছা থানার পুলিশ সদস্যরা তার সাথে ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, অভিযানের সংবাদ পেয়ে বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত পাইপসহ ছয়টি স্যালোমেশিন এবং বালু বহনের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক্টর দিয়ে তৈরি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত ছয়টি মেশিন স্থানীয় ইউপি সদস্যরহেফাজতে দিয়ে মঙ্গলবারের মধ্যে চৌগাছা থানায় পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয় এবং ট্রাক্টরটি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা করা হবে।
উল্লেখ্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পরও কপোতাক্ষ নদ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ না করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গত ৯ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালিয়ে দুটি স্যালোমেশিনসহ সরঞ্জামাদী জব্দ করেন। এ ঘটনায় হাকিমপুর ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় নিয়মিত মামলা করেন। এরপরও বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছিলো না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এক স্থান থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করলে উত্তোলনকারীরা অন্যস্থান থেকে বালু তোলেন তারা। সেই জন্য প্রেক্ষিতে সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই অভিযান পরিচালনা করেন।