রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন

প্রিয়জন ক্যানসারে ভুগছেন? কিছু জরুরি বিষয় জেনে রাখুন

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৮৫ Time View

 

লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক :  ক্যানসারের মতো দূরারোগ্য ব্যাধি যখন পরিবারের কোনও সদস্যকে আক্রমণ করে, তখন তার প্রভাব বাকিদের উপরও পড়ে। যিনি রোগের সঙ্গে লড়ছেন, তার পাশাপাশি যারা তার পাশে থাকছেন, তাদের লড়াইও ততটাই কঠিন এবং দীর্ঘ হয়ে ওঠে। ফলে তাদের মানসিক চাপও হয়ে ওঠে অপরিসীম। রোজকার লড়াইয়ের জমতে থাকা ক্লান্তির পাশাপাশি অনেক সময়েই ভিড় করে এক ধরনের অপরাধবোধ।

এ বিষয়ে ভারতের মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘আসলে ক্যানসারের মতো কঠিন রোগের সঙ্গে যখন আমরা লড়াই চালাই, অনেক সময়েই আমাদের মধ্যে একটি অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। আমরা বুঝতে পারি না শেষ অবধি লড়াইটা কোথায় গিয়ে থামবে। শত চেষ্টা করেও যদি আমরা প্রিয়জনকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে না পারি, তা হলে আমাদের মধ্যে একটি অপরাধবোধ তৈরি হয়।’’

ক্যানসার রোগীদের দায়িত্ব যাদের নিতে হয়, তাদের ক্ষেত্রে এই অপরাধবোধ তৈরি হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক। অনেক সময়ই আত্মীয়-পরিজনদের বিভিন্ন রকম পরামর্শে তৈরি হতে পারে বিভ্রান্তিও। তখনই ফল প্রত্যাশা অনুযায়ী না হলে আরও চেপে ধরে অপরাধবোধ। কিন্তু এই ধরনের অপরাধবোধ তৈরি হওয়া আমাদের শরীর-মন দুইয়ের জন্যেই অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। 

তাই কিছু বিষয় প্রথম থেকেই মাথায় রাখা উচিত। যেমন..

> কোনও প্রিয়জন ক্যানসারে আক্রান্ত হলে আমরা সেই লড়াইয়ে যদি শুধু মাত্র সেবকের ভূমিকা পালন করি, তা হলে তিনিও নিজেকে শুধু রোগীই মনে করবেন। আমাদের মনে রাখতে হবে, অসুস্থতা জীবনের অংশ মাত্র, পুরো জীবন নয়। অনেক সময়ে হয়তো কেউ তার রোগের বদলে অন্য কোনও বিষয়ে কথা বলতে চাইছেন। কিন্তু তা না করে যদি আমরা বারবার শরীর-চিকিৎসা এসব নিয়েই আলোচনা করি, তা হলে তিনিও নিজেকে সব সময়ে অসুস্থই মনে করবেন। 

> ক্যানসার রোগীর দেখাশুনা করার সময়ে অবশ্যই তাকে কিছুটা বাড়তি সময় দিতে হবে, কিছুটা পরিকল্পনা করতে হবে সে বিষয়ে। কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, শুধু সেবক নয়, তার জীবনে আমাদের অন্যান্য ভূমিকাও রয়েছে।

> চিকিৎসা চলাকালীন কোনও নতুন উপসর্গ বা রোগের নিরিখে আগে থেকে কিছু অনুমান করে নেওয়া অনুচিত। যে কোনও বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি বুঝে তবেই সির্দ্ধান্ত নেওয়া শ্রেয়। পূর্বানুমানের ভিত্তিতে অতিরিক্ত আশঙ্কা বা পরিকল্পনা কোনটিই ফলপ্রসূ না হলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠতে পারে। তখনই আরও বেশি করে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়।

> যা করেছেন, প্রিয়জনের ভালোর কথা ভেবেই করেছেন। প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল না হলেও ফিরে গিয়ে আগের সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুশোচনা করার কোনও রকম অবকাশ রাখবেন না।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

কিউএনবি/অনিমা/৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৩:২৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit