মোঃ আমজাদ হোসেন রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : রাজশাহী দূর্গাপুর উপজেলার কাশেমপুর মোঃ রনি(২৫) নামের এক তরুণের বিরুদ্ধে ১টি ধর্ষনের মামলা হয়। মামলা টি করেন বিবাহিত এক তরুণী ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১) ধারায় রাজশাহী দূর্গাপুর থানায় ১টি মামলা দায়ের করেন বিবাহিত ঐ তরুণী। গত ০৩-১০-২০২১ ইং তারিখে দায়েরকৃত মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মামলার আসামি আমার স্বামীর বন্ধু। সেই সুবাদে সে আমাদের বাসায় যাতায়াত করত। এবং আমার মোবাইল ফোনে আমার সাথে কথা বলতো বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিত আমি রাজি না হওয়ায় আমার স্বামী গার্মেন্টস চাকরি কারণে নারায়নগঞ্জে থাকে।
গত-২৫-০৯-২০২১ইং তারিখে আনুমানিক ১১.০০ ঘটিকায় আমি দূর্গাপুর থানাধীন মাড়িয়া ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামে আমার স্বামী রুবেল-(২২) এর বসত বাড়িত ঘরে আমার আড়াই বছরের শিশু কন্যা শন্তান কে নিয়ে একা ঘরে শুয়ে ছিলাম ঘরের দরজা খোলা থাকায় এবং আমার বাড়ীর মধ্যে লোকজন না থাকায় সকলের অগোচরে মোঃরনি-(২৫) ঘরের মধ্যে জোর করে ঢুকে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমার মুখ চেপে ধরে আমাকে ধর্ষন করে পালিয়ে যায়
এদিকে তরুণীর ধর্ষনের অভিযোগের নিক্তিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ডিএনএ পরিক্ষা করা হয় এতে অভিযোগের কোনো সত্যতা প্রমাণিত হয়নি তারপরও হয়রানির শিকার হচ্ছে মোঃরনি(২৫)কে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মোঃরনি-(২৫)এর পিতা মোঃমুকবুল হোসেন বলেন গত-০১-১০২০২১ইং তারিখ রাত্রি আনুমানিক ৯.০০টার সময় আমি দূর্গাপুর বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে শাহবাজপুর উত্তর পাড়ার মোঃ আইয়ুবের বাড়ির কাছে পৌঁছালে আয়ুবও তার স্ত্রী আকলিমা আমাকে পথ রোধ করে এবং বলে আমার ছেলে রনি নাকি তার পত্রবধুকে মোবাইল ফোনে বিরক্ত করে এই নিয়ে কথা কাটাকাটি হতেই আয়ুবের ছেলে রুবেলসহ তার পরিবারের সদস্যরা আমাকে জোরপূর্বক মিলে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায় আমি তাদের বারবার বলি আমার ছেলে রনি ঢাকা গার্মেন্টসে চাকরি করে সত্য যদি সে মোবাইল ফোনে বিরক্ত করে আমি অভিভাক হিসেবে তাকে নিষেধ করবো।
কিন্তু তাঁরা আমার কথায় কর্নপাত করেনি তারা তাদের বাড়িতে আমাকে আটকে রেখে পরদিন-০২-১০-২০২১ইং তারিখে বেলা আনুমানিক ২.ঘটিকায় আয়ুবের বাড়িতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোল্লা হাসান ফারুক ইমাম সুমনের উপস্থিতিতে সালিশের আয়োজন করা হয় উক্ত সালিশে স্থানীয় চেয়ারম্যান জনসাধারণের সামনে আমাকে ১লক্ষ৭১ হাজার টাকা জরিমানা হিসেবে রায় করেন আমি টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তারা আমাকে স্থানীয় মেম্বারও গ্রাম পুলিশের হেফাজতে দেয়া হয় এরপরে আমাকে দূর্গাপুর থানায়,৫-৬ঘন্টা আটকে রেখে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। পরদিন-০৩-১০-২০২১ইং তারিখে শুনি আমার ছেলের বিরুদ্ধে আয়ুবের ছেলে রুবেলের স্ত্রী নিজে বাদী হয়ে ২৫-০৯-২০২১ তারিখ উল্লেখ্য করে দূর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন কিন্তু গত-২৫-০৯-২০২১ তারিখে আমার ছেলে রনি ঢাকায় M.S Dyeing, Printing &Finishing Ltd. গার্মেন্টসে কর্মরত ছিল।
এব্যাপারে অভিযুক্ত রনির পিতা মোঃমুকবুল হোসেন নেয় বিচার চেয়ে ১,স্বরাষ্ট্র সচিব,স্বারাষ্ট্র মন্ত্রনালয়,২,বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স,৩,ডিআইজি রাজশাহী রেঞ্জ,৪জেলা প্রশাসক রাজশাহী,৫, পুলিশ সুপার রাজশাহী। অনুলিপি বরাবর অনুলিপি প্রদান করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দূর্গাপুর থানার এসআই,বিনয় বলেন, যেহেতু মামলাটি তদন্তাধীন আছে সেহেতু এই মামলা বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।
কিউএনবি/আয়শা/১৮ই জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:৩০