কিন্তু, এরপরেই ঘটে বিপত্তি। রাত ৮টা ৫২ মিনিটে বিমানটির সঙ্গে কন্ট্রোল রুমের রেডিও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিমানটি হায়মানা জেলায় জরুরি অবতরণের অনুরোধ করেছিল। তবে এর পরপরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং স্থানীয়রা ওই এলাকায় একটি বিশাল বিস্ফোরণের আলো দেখতে পান। তুর্কি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিমানটির ধ্বংসাবশেষের অবস্থান নিশ্চিত করেছে, যা আনকারা থেকে প্রায় ৭৪ কিলোমিটার দক্ষিণে কেসিককাভাক গ্রামের কাছাকাছি।
নিহতদের মধ্যে সেনাবাহিনী প্রধান আল-ফিতৌরি ঘারিবিল, মিলিটারি ম্যানুফ্যাকচারিং অথরিটির পরিচালক মাহমুদ আল-কাতাওয়ী, আল-হাদ্দাদের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আল-আসাউই ডিয়াব এবং একজন সামরিক ফটোগ্রাফার মুহাম্মদ ওমার আহমেদ মাহজবও রয়েছেন। লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দবিবাহ এ দুর্ঘটনায় শোক জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি লিবিয়ার দেশরক্ষা বাহিনী এবং সমগ্র জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিক তদন্তে দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কথাই বলা হয়েছে। এছাড়া ইস্তাম্বুলে দায়িত্বরত আল জাজিরার প্রতিনিধি জানান, প্রাথমিক আলামত অনুযায়ী এটিকে কারিগরি ত্রুটি মনে করা হলেও বর্তমান রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই দুর্ঘটনা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনাও চলছে।