বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন

গণসংযোগ শেষে হাসনাতের আবেগঘন পোস্ট

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৫৭ Time View

নিউজ ডেক্স : কুমিল্লার দেবিদ্বারে নিজ নির্বাচনী এলাকায় দিনভর গণসংযোগ করে ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দিনভর উপজেলা ভানী এবং সুলতানপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পদযাত্রা এবং গণসংযোগ শেষে রাতে ফেসবুকে এ পোস্ট দিয়েছেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেন- মুরগিকে ঘিরে মুরগি-ছানাদের যেরূপ বৈভবহীন পৃথিবীর আবর্তন, আমার সঙ্গে আমার মায়ের সম্পর্কটা ছিল ঠিক সে রকম। দুপুরে যত্ন করে ঘাড়ে–পিঠে ট্যালকম পাউডার লাগিয়ে দিয়ে বিছানায় কবিতা পড়তে দিত। আমার পড়ার শব্দে ঘুমিয়ে পড়া এবং পড়ার শব্দ বন্ধ হলে ঘুম থেকে ওঠে যাওয়া আমার মায়ের কাছে আমার অনেক ঋণ আছে। আম্মার জন্য আগামী অধিবর্ষের পূর্বেই আমার একটা বৃষ্টিস্নিগ্ধ বাড়ি করার কথা ছিল। কত কিছু করার কথা ছিল!

কিন্তু জুলাই!মেঘ যেমন সূর্যকে ঢেকে দিলে পৃথিবীর সঙ্গে সূর্যের দূরত্ব হঠাৎ স্পষ্ট হয়ে ওঠে, ঠিক তেমনই জুলাই আমার আর আমার মায়ের মাঝে এক অদৃশ্য দূরত্ব টেনে দিয়েছে। শেষ কবে আম্মার সাথে কথা হয়েছে মনে পড়ে না। আম্মার জন্য আর কখনো বাড়ি করা হবে বলে মনে হয় না। এসব নিয়ে ইষৎ দুঃখবোধও হয়। তবে এর সাথে পরিতৃপ্তি বোধও আছে। যখন দেখি আমার এই ছবির আম্মারা আমার কাছে নানা আবদার করে,তখন পরিতৃপ্ত হই। তখন সাময়িক নির্ভার হই। প্রশান্ত হই। জানি,এই নির্ভার অনুভূতি চূড়ান্ত নয়। এই সাময়িক নির্ভার অনুভূতি অনিশ্চয়তার শেষ স্টেশন থেকে চিরকালের জন্য তুলে নিয়ে নিশ্চয়তার দিকের চূড়ান্ত যাত্রার শুরু মাত্র। তিনি আরও লিখেন, আমি অনিশ্চয়তা মাথায় নিয়ে দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ঘুরে বেড়াচ্ছি। গাড়ি এখন সূর্যপুরমুখী।

ফ্রন্ট সিটটা হেলিয়ে দিয়ে,গ্লাসের ফোঁকর দিয়ে আমার কর্মীদের সাই-সাই করে চলে যাওয়া মোটরসাইকেলগুলো দেখছি। দেখছি আমাদের মতো জালিয়াত, ঠক, রাজনীতিবিদ, যাদের কাছে সহকর্মীর মৃত্যু হলো রাজনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ, তাদেরকে দেখার জন্য, তাদের কথা শোনার জন্য এসব বেকার, আধাবেকার, ভবঘুরে, অর্ধশিক্ষিত, উদ্যোমী তরুণরা পতঙ্গের মতো চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদেরকে দেখছি আর ভাবছি, আর কোনো জুলাই যেন এই উদ্যোমী তরুণদের তাদের মায়ের কাছ থেকে দূরে নিয়ে না যায়। প্রত্যাশা করি এই ছবির মায়েদের জন্য তাদের নিজেদের সন্তানরা যেন বৃষ্টিস্নিগ্ধ বাড়ি করে দেয়-যে বাড়িতে শেষ বয়সে তাদের নিজের সন্তান তাদের পায়ে ব্যথার মালিশ লাগিয়ে দেবে, ঠিক যেমন গোধূলির আলো নিজের শেষ মমতা দিয়ে দিনের ক্লান্ত সূর্যকে কোলে তুলে নেয়। প্রত্যাশা করি, প্রতিটি মা যেন তার সন্তানের সেই গোধূলিবেলাটা ফিরে পায়, মমতার শেষ আলোয় ভেজা, নিশ্চিন্ত আর শান্ত।

 

 

কিউএনবি/মহন/ ৩ ডিসেম্বর ২০২৫/দুপুর ১২:২৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit