এতে স্থানীয় পর্যায়ে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিক্রিয়ার জন্য একটি সমন্বিত কৌশল তৈরি করাই ছিল এই সভার মূল উদ্দেশ্য। এছাড়াও, দুর্যোগকালীন সময়ে নারীদের নিরাপত্তা, সেবা ও রেফারেল পাথওয়ে উন্নয়ন এবং প্রতিটি স্টেকহোল্ডারের প্রতিশ্রুতি ও সহযোগিতা নিশ্চিত করার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সভায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর, প্রশাসন, শিক্ষক, কাজীসহ নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম সকল প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সুবর্ণচর ইউনিয়নের চর জব্বার থানার নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী সহায়তা ডেস্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল মোমিত শুভ বলেন, “স্থানীয় সালিশ বৈঠকে অনেক অভিযোগই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না। ঘরোয়া সহিংসতা হলে তা আরও আমলে নিতে চায় না।“ তিনি ভুক্তভোগীদের যেকোনো সহিংসতার মুখে ডেডিকেটেড ডেস্কের মাধ্যমে পুলিশের সাহায্য নিতে আহ্বান জানান।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক কামরুননাহার তার বক্তব্যে বলেন, “সুবর্ণচর এলাকায় নারী নির্যাতনের প্রচুর অভিযোগ আসে। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে আগে নারীকে সচেতন হতে হবে এবং পরিবার থেকেই শিশুকে সম্মান ও সমতার শিক্ষা দিতে হবে।” আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি উপস্থিত কমিউনিটির সদস্যদের সহিংসতার প্রতিকারে কোথায় সহযোগিতা পেতে পারে, সে বিষয়ে মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করেন।
কিউএনবি/খোরশেদ/০১ ডিসেম্বর ২০২৫,/বিকাল ৪:৩০