রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এনসিপি নেতাদের সাক্ষাৎ বছরে ১০০ ছক্কার রেকর্ড গড়লেন পাকিস্তানের যে ক্রিকেটার পাকিস্তানের প্রথম ব্যাটার হিসেবে এক বছরে ১০০ ছক্কার রেকর্ড দেব এক মেয়ের বাবা হলেও আপত্তি নেই জ্যোতির্ময়ীর কুড়িগ্রামের খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের তিন সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগে আইনি তদন্ত শুরু ‘আমাদের ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসা কেবল আল্লাহর জন্য’ ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর সঙ্গে রণবীরের নাচের ভিডিও ভাইরাল নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পাচ্ছি না: নাহিদ ইসলাম মেট্রোরেলের লাইনের ওপর ড্রোন, ৯ মিনিট বন্ধ ছিল চলাচল নতুন সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে যা বললেন কারিনা

কুড়িগ্রামের খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের তিন সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগে আইনি তদন্ত শুরু

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৬ Time View

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক তিনজন অধ্যক্ষ—রীতা রানী দেব, এস এম সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নিয়োগ–বিধি লঙ্ঘন, আর্থিক অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, জাল সনদ ব্যবহার এবং সরকারি বরাদ্দ ব্যবস্থাপনায় অনিয়মের অভিযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইং আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে।

২৩ নভেম্বর ঢাকা শিক্ষা ভবনে অনুষ্ঠিত তদন্ত সভায় অভিযোগকারী লুৎফর রহমান (সাবেক সহ–সভাপতি, ম্যানেজিং কমিটি) লিখিত বক্তব্য, প্রমাণ হিসেবে উল্লেখযোগ্য নথিপত্র ও আর্থিক তথ্য উপস্থাপন করেন। অধিদপ্তর অভিযোগগুলো নথিভুক্ত করে পরীক্ষণ বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

অভিযোগে বলা হয় রীতা রানী দেব ১৯৯৮ সালে কুড়িগ্রামের খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রভাষক পদে যোগদানের সময় স্ট্যাম্পে হলফনামা দিয়ে জানান যে এটি তার প্রথম চাকরি। পরবর্তীতে অধ্যক্ষ হওয়ার আবেদনে ১৯৯৫ সাল থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরির অভিজ্ঞতা দেখিয়ে জ্যেষ্ঠতার দাবি করেন—যা পূর্ব হলফনামার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

২৫ জনকে বিধিবহির্ভূত নিয়োগের অভিযোগ : লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী ২৫ জন শিক্ষক–কর্মচারীকে নিয়োগ দিতে ডোনেশনের নামে অর্থ গ্রহণ, নিয়োগসংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের কোনো সরকারি রসিদ বা ব্যাংক এন্ট্রি না থাকা, নিয়োগ প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট নথি উপস্থাপন না করা, এসবকে নিয়োগবিধি ও আর্থিক নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

একজন নিয়োগপ্রার্থী এফিডেভিটের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের দাবি করেছেন।  অভিযোগে তার কপি দাখিল করা হয়েছে। আর্থিক লেনদেনে নানান অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। সরকারি বরাদ্দ (টিআর/কাবিখা, জেলা পরিষদ, নির্মাণ কাজ) ব্যবহারে অসামঞ্জস্য, ছাত্র–ছাত্রীদের ভর্তি ফি, টিউশন ফি, পরীক্ষার ফি–সংক্রান্ত আয় প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে জমা না হওয়ার অভিযোগ, একাধিক ভাউচারে অসংগতির তথ্য, বিভিন্ন ফি–সংক্রান্ত রশিদ প্রদান না করার বিষয়টি তদন্তের জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

২০১৬ সালের অডিট প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানের আয় উল্লেখযোগ্য হারে বেশি দেখানো হয়, যা অভিযোগকারীর দাবি অনুযায়ী পূর্বের হিসাবের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

অভিযোগে বলা হয়—২৫ জন নিয়োগের মধ্যে কয়েকজন নিয়োগপ্রাপ্তের সঙ্গে অধ্যক্ষের ঘনিষ্ঠ পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। এ ছাড়া পাঁচজন শিক্ষক NTRC এর জাল সনদ জমা দিয়ে চাকরি লাভ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। সাবেক অধ্যক্ষ রীতা রানী দেবের বিরুদ্ধে নিয়োগের মাধ্যমে ১কোটি ৭০ লক্ষ এবং তার মেয়াদকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয়ের প্রায় ৪ কোটি টাকা লোপাট করার অভিযোগে তদন্ত কমিটির নিকট সকল তথ্য প্রমান দাখিল করা হয়েছে বলে অভিযোগকারী জানান।

অভিযুক্ত সাবেক তিন অধ্যক্ষের নিকট তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে মোবাইলে কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।

অধ্যক্ষ এস এম সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ : অভিযোগে বলা হয় রাজনৈতিক সুপারিশের মাধ্যমে পদ লাভ, গভর্নিং বডি কর্তৃক পূর্বে সাময়িক বরখাস্ত, প্রতিষ্ঠানের ৪৪,১১,১৩৪ টাকা তছরুপের অভিযোগ—যা এখনো পরিশোধ না করা হয়নি। এ তথ্যগুলো তদন্তের জন্য নথিভুক্ত করা হয়েছে।

অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ : উপস্থাপিত নথিতে বলা হয়, সভাপতি নিয়োগে ভুয়া তথ্য উপস্থাপন, অবসর গ্রহণের আগের দিন একাধিক রেজুলেশন সম্পন্ন, নিয়ম অনুসারে নোটিশ ছাড়া সভা পরিচালনা, জনতা ব্যাংক ত্রিমোহনী বাজার শাখা কুড়িগ্রাম থেকে একদিনেই ৬ লাখ ৮১ হাজার টাকা উত্তোলনে অসঙ্গতিমূলক তথ্য ও কাগজপত্র তদন্তকারী সংস্থার কাছে এসব নথি জমা হয়েছে।

অভিযোগকারীর দাবি : অভিযোগকারী তদন্ত কমিটির কাছে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করার আবেদন করেছেন —১. তিন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ২. আত্মসাৎকৃত অর্থ পুনরুদ্ধার ৩.জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, ৪. গত কয়েক বছরের হিসাব–নিকাশের ফরেনসিক অডিট সম্পন্ন করণ, ৫. ভবিষ্যতে অনিয়ম বন্ধে বিশেষ মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণ। মনিটরিং ও ইভালুয়েশন উইং জানায় উপস্থাপিত অভিযোগ, নথিপত্র এবং আর্থিক তথ্য পর্যালোচনা শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

কিউএনবি/ রাজ/২৩.১১.২০২৫/দুপুর ২.৪৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

November 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit