এম এ রহিম চৌগাছা( যশোর) : যশোরের চৌগাছায় বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যক্তিমালিকানা জমিতে গাছ রোপণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) এই অভিযোগ করেছেন উপজেলার ছোট নিয়ামতপুর গ্রামের সোহেল রানা, ফারুখ হোসেন, নজিরুদ্দীন, গোলাম মোস্তফা ও জাহাঙ্গীর নামের ব্যক্তিরা। ভুক্তভোগীরা জানান, সম্প্রতি নদী খনন কাজ চলাকালীন তাদের ব্যক্তিমালিকানা জমিতে অনুমতি ছাড়া খননকৃত মাটি ফেলা হয় এবং সেই মাটির উপর বন বিভাগের পক্ষ থেকে গাছ লাগানো হয়। এতে তারা তাদের নিজ জমির স্বাভাবিক দখল ও ব্যবহার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জানা গেছে, এ ঘটনায় ২০২৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর একটি লিখিত আবেদন জমা দেন জমির মালিক সোহেল রানা ও ফারুখ হোসেন। আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয় তাদের মালিকানাধীন জমিটি মৌজা বকসীপুর, জে.এল. নং ৪৯, দাগ নং আরএস ১৩৪০, ১৩৯৬ ও ১৩৯৭, খতিয়ান নং ৩৯৭ ও ১৪-এ অবস্থিত, যার পরিমাণ ১.০৯ একর। কিন্তু কোনো ধরণের অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া বা ক্ষতিপূরণ প্রদান ছাড়াই তাদের জমিতে নদীর খননের মাটি ফেলে গাছ রোপণ করা হয়েছে।
আবেদনে তারা উপজেলা প্রশাসনের কাছে অবৈধভাবে ফেলা মাটি ও লাগানো গাছ অপসারণ করে জমির দখল ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। সংযুক্ত দলিলে জমির ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদ, এসএ ও আরএস খতিয়ান এবং মৌজা ম্যাপের অনুলিপি যুক্ত করেছেন আবেদনকারীরা। এ বিষয়ে হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মাসুদুল হাসান বলেন, “বন বিভাগের এমন আচরণ সম্পূর্ণ অন্যায়। সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে কোনোভাবেই ব্যক্তিমালিকানা জমি দখল করা যায় না।
আমি বিষয়টি তদন্ত করেছি। জমিটি সোহেল রানা, ফারুখ হোসেন, নজিরুদ্দীন, গোলাম মোস্তফা ও জাহাঙ্গীরদের তাদের বৈধ মালিকানাধীন। প্রশাসনের উচিত মালিকদের জমি দখল মুক্ত করা। অন্যদিকে উপজেলা বন কর্মকর্তা ফেরদৌস খান বলেন, আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্দেশক্রমে উক্ত জায়গায় গাছ লাগিয়েছি। তিনি বলেন, গাছ লাগানোর জায়গাটি সরকারি জমি এবং কোনো ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি নয়।
কিউএনবি/আয়শা/২৫ অক্টোবর ২০২৫,/রাত ৮:৫৪