আসাদুজ্জামান আসাদ দিনাজপুর প্রতিনিধি : দেশের উত্তর অঞ্চলরের একমাত্রা দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন গত গত বৃহস্পতিবার থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ০৭দিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে ৩য় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ। এরই মধ্যেই গত সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় ০১ নং ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে এখন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশের উত্তর অঞ্চলের ভারী, মাঝারি শিল্পকারখানা গুলো ও বোর ধান সেচ মৌসুমে উত্তর অঞ্চলের ১৬টি জেলায় বিদ্যুৎ সংকট বিরাজ করছে।
দিনাজপুরের পার্শ্বতী কয়লাখনি উৎপাদিত কয়লাদিয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট নির্মাণকৃত ৩টি ইউনিট এর বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রমের মধ্যে ২নং ইউনিটটি প্রায় ০৭ বছর ধরে অকেজ অবস্থা পড়ে রয়েছে। এই ইউনিট থেকে এক সময় ১২৫ মেগাওয়াড বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও উৎপাদন হত মাত্র ৬০-৭০ মেগাওয়াড বিদ্যুৎ। সেই ইউনিটিও এখন অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ০১ ও ০৩নং ইউনিটি মেরামত করে জোড়াতালি দিয়ে চালু করলেও বছরে কয়েকবার নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যহত হয়। এভাবেই চলছে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। গত ০৬ বছর আগে ৩য় ইউনিটি নির্মাণ করা হয় এবং যার বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৭৫ মেগাওয়াড।
উৎপাদনে যাওয়ার পরেও এ পর্যন্ত কতবার যে যান্ত্রিক ত্রুটিতে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছিল তার কোন হিসাব নেই। গত ১৫ই ফেব্রুয়ারী যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ০৩নং ইউনিট ও ০১ নং ইউনিরট বন্ধ হয়ে যায় এর পরেও গত ২২শে ফেব্রুয়ারী ২০২৫ইং তারিখে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ০৩নং ইউনিট ও ০১ নং ইউনিটর বন্ধ হয়ে যায় । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি জানান, ইউনিটটির বয়লার লিকেজ এর কারণে বন্ধ করে দিতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়।০১নং ও ০২ নং ইউনিট ওভার হোলিং এ কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। যার কারনে ০২নং ইউনিটটি ০৬ বছর ধরেই বন্ধ রয়েছে। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সব মিলে প্রায় ৪শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। এদের পিছনে বিদ্যুৎ উন্নয় বোর্ডের কোটি কোটি ব্যয়। ০৩টি ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উত্তর অঞ্চলে কৃষিতে ও শিল্পতে বিদ্যুতের চরম সংকট চলছে।
এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, যান্ত্রি ত্রুটির কারণে ইউনিট দুটি বন্ধ হয়ে গেছে। মেরামত না করা পর্যন্ত কোনভাবে তা চালু করা সম্ভব নয়। তবে আমরা অতি দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।
কিউএনবি/আয়শা/২৩ অক্টোবর ২০২৫,/সন্ধ্যা ৭:১৮