আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, অপারেশন সিন্দুরে যা ঘটেছিল তা কেবল একটি ট্রেলার ছিল। কিন্তু সেই ট্রেলারটিই পাকিস্তানকে বুঝতে সাহায্য করেছিল যে ভারত যদি এটির জন্ম দিতে পারে তাহলে তারা আর কী করতে পারে।
তিনি বলেন, ব্রহ্মোস কেবল একটি ক্ষেপণাস্ত্র নয়, বরং ভারতের ক্রমবর্ধমান দেশীয় ক্ষমতার প্রতীক। গতি, নির্ভুলতা এবং শক্তির এই সমন্বয় ব্রহ্মোসকে বিশ্বের সেরা ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি করে তুলেছে। ব্রহ্মোস ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেরুদণ্ড হয়ে উঠেছে।
রাজনাথ প্রকাশ করেন যে, মাত্র এক মাসের মধ্যে ব্রহ্মোস টিম দুটি দেশের সাথে প্রায় ৪,০০০ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। বলেন, আগামী বছরগুলোতে ভারত অন্যান্য দেশের বিশেষজ্ঞদের লক্ষ্ণৌতে আসতে দেখবে, যা এটিকে একটি জ্ঞান কেন্দ্র এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে শীর্ষস্থানীয় করে তুলবে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং শনিবার অপারেশন সিন্দুরের সাফল্যের প্রশংসা করে বলেন, ভারতের সামরিক শক্তি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে জয় একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
ভারতে আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের প্রতিপক্ষরা আর ব্রাহ্মোস থেকে পালাতে পারবে না। পাকিস্তানি ভূখণ্ডের প্রতিটি ইঞ্চি এখন আমাদের ব্রাহ্মোসের নাগালের মধ্যে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন।
তিনি পাকিস্তানের প্রতি একটি কড়া বার্তাও পাঠিয়েছেন, বলেছেন অপারেশন সিন্দুরের ঘটনাগুলো ভারতের সক্ষমতার এক ঝলক মাত্র।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সাথে, লখনউয়ের ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেস সুবিধায় নির্মিত ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যাচের পতাকা উড়িয়ে উদ্বোধন করেন।
সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস, হিন্দুস্তান টাইমস
কিউএনবি/আয়শা/১৮ অক্টোবর ২০২৫,/রাত ৯:২২