আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রতিবেদন মতে, গাজার সিভিল ডিফেন্স এক টেলিগ্রাম পোস্টে জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি বাসে হামলা চালানো হয়। এ সময় বাসটিতে ১০ জন যাত্রী ছিল।
হামলার পর তারা একজন কিশোরকে আহত অবস্থায় ওই এলাকা থেকে উদ্ধার করতে পেরেছে। তবে ওই এলাকা বিপজ্জনক হওয়ায় বাকিদের উদ্ধার করা যায়নি। তাদের ভাগ্যে কি ঘটেচে তা অজানা। ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর জন্য সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সমন্বয় চলছে।’
এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে গাজা ও মিশরের সাথে সংযোগকারী রাফাহ ক্রসিংটি খুলে দেয়ার জন্য ইসরাইলকে চাপ দিতে মধ্যস্থতাকারী এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস। জাতিসংঘ জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির এক সপ্তাহ পরও গাজার লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনিদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে ইসরাইলের বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।
গত সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও ইসরাইলের হামলা থেমে নেই। এসব হামলায় প্রতিদিনই প্রাণ যাচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। সেই সঙ্গে মিশরের সঙ্গে গাজার সীমান্তের রাফা ক্রসিং এখনও খুলে দেয়নি ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। তারা বাকি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
তবে হামাস বলেছে, তাদের কাছে থাকা সব মরদেহ ফেরত পাঠানো হয়েছে। বাকিরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় খুঁজে বের করে ফেরত পাঠানো হবে। গাজায় ভবনের ধ্বংসস্তূপে ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি চাপা পড়ে আছেন, যাদের কোনো খোঁজ মিলছে না। এ অবস্থায় হামাস ইসরাইলের কাছে মরদেহ ফেরত দেয়ার জন্য সময় চেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দ্য গার্ডিয়ান জানায়, হামাস বলেছে, ধ্বংসাবশেষ থেকে বাকিদের উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ ও উদ্ধার সরঞ্জাম ছাড়া তারা মৃত ইসরাইলি জিম্মিদের আর কোনো দেহাবশেষ ফেরত দিতে পারবে না। এ বক্তব্যের পর শর্ত ভাঙার অভিযোগ তুলে গাজায় আবারও হামলা শুরু করার হুমকি দেয় ইসরাইল।
যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে চলতি সপ্তাহের শুরুতেই ২০ জিম্মিকে মুক্ত করে হামাস। পরে দুই দফায় চার ও তিনটি মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। সর্বশেষ গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে দুই জিম্মির মরদেহ ইসরাইলের কাছে হস্তান্তর করে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠনটি। এতে ২৮ মরদেহের মধ্যে ৯টি ফেরত পেয়েছে ইসরাইল। গাজায় এখন ১৯ জিম্মির মরদেহ রয়ে গেছে। এগুলো হামাসের হাতে নেই বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
কিউএনবি/আয়শা/১৭ অক্টোবর ২০২৫,/রাত ১০:০৫