বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন

রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ৩২ বিলিয়ন ডলার

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১৫ Time View

ডেস্ক নিউজ : করোনার সময় হুন্ডির তৎপরতা কমায় বৈধ পথে বাড়ে প্রবাসী আয়। বাড়তে থাকে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ। ২০২১ এর আগস্টে রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। তবে বেশিদিন ধরে রাখা সম্ভব হয়নি রিজার্ভের এই ঊর্দ্ধগতি, বছর দুয়ের মধ্যে নামে অর্ধেকে। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে আবারও বাড়তে শুরু করে রিজার্ভর পরিমাণ। রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স, রফতানি আর বিদেশি ঋণে ভর করে গতকাল মঙ্গলবারে (১৪ অক্টোবর) দেশের গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী বললেন, বিভিন্ন প্রক্রিয়া আমরা গ্রহণ করেছি এবং একই সাথে প্রবাসীরা টাকা পাঠাচ্ছে, তারপর আমাদের রফতানি আয় বেড়েছে। সব মিলিয়ে এখন রিজার্ভটা উপরের দিকে যাচ্ছে। একটা দেশের অর্থনীতির জন্য তিন মাসের আমদানি বিল পরিশোধ করার মতো যদি অর্থ থাকে, সেক্ষেত্রে এই অর্থনীতিকে সক্ষম একটা অর্থনীতি অর্থাৎ রিজার্ভটা শক্তিশালী অবস্থানে আছে ধরা হয়, সেই বিবেচনায় আমরা এখন অনেক ভালো আছি। 

রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক হলেও এটি ধরে রাখার ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। চলতি অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি আগের মতো না-ও হতে পারে। উল্টো আমদানি বাড়লে চাপ পড়বে রিজার্ভের ওপর। এজন্য রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার পাশাপাশি বিদেশি ঋণের ব্যবহার এবং বিনিয়োগে জোর দেয়ার পরামর্শ তাদের। 

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ারগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, রেমিট্যান্স ও রফতানির প্রবণতাকে ইতিবাচক রাখার চেষ্টা করতে হবে। ঋণের অবমুক্তিটা যাতে আমরা দ্রুত করতে পারি, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এনে সেটাও যাতে রিজার্ভে একটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। কারণ, আগামীতে কিন্তু দুইটা চাপ বাড়বে। একটা হলো আমদানির চাপ, আর দ্বিতীয় যেটা সেটা হলো ঋণ পরিসেবার চাপ। দুটোকে সামাল দিতে গেলে আমাদের অন্যদিক থেকে আয়ের জায়গাগুলো সেটা যদি দ্রুত হারে না বাড়ে তাহলে কিন্তু রিজার্ভের ওপর একটা চাপ সৃষ্টি হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছেন, আকু পেমেন্ট ও বৈদেশিক ঋণের পরিশোধের চাপ থাকলেও বড় ধরনের কোনও চ্যালেঞ্জ নেই। তাই রিজার্ভে বড় ধরনের পতনের শঙ্কা নেই। মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, আমদানির বিষয়টা আসলে বাংলাদেশে ব্যাংক সরাসরি ফান্ডিং করবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক এর আগেও করেনি। গুটিকয়েক শুধুমাত্র সরকারের আমদানিগুলো করে থাকে অথবা অর্থনীতির প্রয়োজনে যদি সার আমদানির দরকার হয়, কৃষি খাতের জন্য যেটা আমাদের সামনে দরকার হবে সেগুলোর ক্ষেত্রে কিছু পেমেন্ট করে।

বাকি যে আমদানির বিষয় আসছে ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংক থেকে এবং প্রবাসীদের অর্থ ব্যবহার করেই তারা সেটা পরিশোধ করতে পারবে। সুতরাং শিগগিরই এত অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ নেই। বৈধ পথে প্রবাসী আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থপাচার রোধে সরকারের কঠোর অবস্থান অব্যাহত রাখার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

 

কিউএনবি/আয়শা/১৫ অক্টোবর ২০২৫,/সন্ধ্যা ৬:৩৩

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit