আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত মে মাসে ভারতের সাথে চার দিনের সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীতে ব্যবহৃত চীনা অস্ত্র ব্যবস্থাগুলি ভালো কাজ করেছে বলে দাবি করেছেন ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস বা আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী।
এই সংঘাতে প্রথমবারের মতো আধুনিক চীনা অস্ত্র বিশেষ করে জে-টেন সি যুদ্ধবিমান এবং পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র বাস্তব যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়।
সোমবার প্রকাশিত ব্লুমবার্গের একটি সাক্ষাৎকারে লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী বলেন, আমরা সব ধরনের প্রযুক্তির জন্য উন্মুক্ত। তবে, সাম্প্রতিক চীনা প্ল্যাটফর্মগুলি বিশেষভাবে ভালো ফল দেখিয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, আমাদের উন্নয়ন কৌশল সবসময়ই সবচেয়ে কার্যকর, দক্ষ, এবং অর্থনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ও প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করার দিকে নজর দেয়।
পাকিস্তান দাবি করেছে, মে মাসের সংঘর্ষে তারা ভারতীয় বিমান বাহিনীর সাতটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। এই দাবির সমর্থনে আইএসপিআর বলেন, পাকিস্তান কখনই তথ্য ও পরিসংখ্যান নিয়ে খেলার চেষ্টা করেনি। তিনি আরও নিশ্চিত করেন, এই সংঘাতে পাকিস্তানের কোনো বিমান খোয়া যায়নি। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ভারতের সাতটি বিমান ভূপাতিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন।
অন্যদিকে, ভারত যদিও বিমান ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেছে। তবে ছয়টি বিমান হারানোর দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রধান গত সপ্তাহে দাবি করেন, ভারত এই সংঘাতের সময় পাকিস্তানের প্রায় এক ডজন বিমান ধ্বংস করেছে।
পাকিস্তান বিমান বাহিনীর জে-টেন সি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করার বিষয়টি প্রথম জানান পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এই সংঘাত চীনা জে-টেন সি বিমান এবং পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রের বিশ্বের কোথাও প্রথম সরাসরি যুদ্ধ ব্যবহার হয়েছে। উল্লেখ্য, এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই পাকিস্তান ভারতীয় বিমান, যার মধ্যে ফ্রান্স-নির্মিত রাফালও ছিল ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইসলামাবাদ।
প্রাথমিকভাবে চীন তাদের যুদ্ধবিমান ব্যবহারের বিষয়ে অবগত নয় বলে জানালেও জুলাই মাসে চীনা বিমান বাহিনীর প্রধান পিএএফ-এর পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন।
সূত্র: ডন
কিউএনবি/অনিমা/০৭ অক্টোবর ২০২৫,/রাত ৮:৫৭