বিনোদন ডেস্ক : দীপিকা পাড়ুকোনের ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিসহ নানা আবদার ঘিরে বলিউডে চলমান বিতর্ক যখন তুঙ্গে সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সদ্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী রানী মুখার্জি। রানী জানালেন, কীভাবে মাতৃত্ব ও কাজ সামলে তিনি অভিনয় জীবনকে এগিয়ে নিয়েছেন।
সম্প্রতি দীপিকা পাড়ুকোন ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ ছবির সিকুয়েল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এর আগেও তিনি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ‘স্পিরিট’ থেকে সরে যান, যা ভক্তদের মধ্যে নানা প্রশ্ন ও কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। পরিচালক ও প্রয়োজকদের দাবি, দীপিকা শ্যুটিং-এ আকাশছোঁয়া দাবি জানিয়েছেন।
দীপিকার এসব আলোচনার মধ্যেই ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবির জন্য পুরস্কৃত রানী মুখার্জি, ২০১৮ সালে ‘হিচকি’ ছবির শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে বলেছেন, ‘আমি যখন ‘হিচকি’ সিনেমাটি করি তখন আমার মেয়ের বয়স ছিল ১৪ মাস এবং আমি তখনও তাকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছিলাম। তাই আমাকে দুধ পাম্প করে সকালে শ্যুটিং-এ যেতে হত।
তিনি আরও বলেন, আমার প্রথম শট সকাল ৮টায় হতো এবং আমি ১২ টা ৩০ থেকে ১টার মধ্যে সবকিছু শেষ করতাম। আমার পরিচালক এবং ইউনিট এতটাই পরিকল্পিত ছিল যে সেই ৬-৭ ঘণ্টার শুটিং শেষ করতাম এবং শহরে যানজট শুরু হওয়ার আগে ৩টার মধ্যে বাড়ি ফিরে যেতাম। আমার ছবিগুলো আমি এভাবেই করেছি।’
মেয়েকে লালন-পালনের জন্য চলচ্চিত্র থেকে বিরতি নেওয়ার বিষয়েও তার কথা উঠে এসেছে। নারী অভিনেত্রীদের কর্মজীবনের ভারসাম্য বজায় রেখে কাজ করতে হয়- যা পুরুষদের করার প্রয়োজন হয় না বলে জানান মার্দানি খ্যাত এই অভিনেত্রী।
রানী বলেন, নারী ও পুরুষের জন্য অভিনয় জগতটা অনেক ভিন্ন। পুরুষদের কোনোরকম শারীরিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয় না। কিন্তু নারীদের যেতে হয়।
তিনি আরও যোগ করেন, ভাবুন তো, যদি পুরুষদের সন্তান জন্ম দিতে হতো, তা হলে ওরা সবাইকে পাগল করে দিত। এখন ওদের হাতে অনেক সময়, তাই যুদ্ধ করছে। যদি ওদের সন্তান জন্ম দিতে হতো, তা হলে হয়তো পৃথিবীতে কোনও যুদ্ধই থাকত না। কারণ ওরা তখন শুধু শিশুকে নিয়েই ব্যস্ত থাকত।
সম্প্রতি ৭১তম ভারতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য রানী মুখার্জিকে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। মিসেস চ্যাটার্জি বনাম নরওয়েতে রানীর ভূমিকা সাগরিকা চক্রবর্তীর বাস্তব জীবনের ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত যার সন্তানদের ২০১১ সালে নরওয়েজিয়ান সরকার নিয়ে যায়। রানী মুখার্জি দেবিকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
১৯৯৬ সালে বাংলা সিনেমা বিয়ের ফুল দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন রানী। ১৯৯৮ সালে কুছ কুছ হোতা হ্যায় সিনেমা দিয়ে মানুষের মন জয় করা থেকে শুরু করে অনেক সাহসী ও নির্ভীক নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন; যা শক্তি, সাহস এবং আবেগ প্রকাশ করেছে।
কিউএনবি/আয়শা/০২ অক্টোবর ২০২৫,/রাত ১১:৩৩