এম এ রহিম, চৌগাছা (যশোর) : যশোরের চৌগাছায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নতুন কমিটি গঠন করা নিয়ে চলছে রশি-টানাটানি। কমিটির জন্য বারবার আবেদন করলেও কোন সুরাহা দিচ্ছেননা যশোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ। এদিকে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা পৃথক ভাবে ৩টি আহবায়ক কমিটির নামের তালিকা যশোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে জমা দিয়েছেন বলে দাবী করছেন জেলা নেতৃবৃন্দ।শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবণে সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে এক জরুরী সভার আয়োজন করা হয়।
এ সময় বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ। বক্তৃতা করেন সাবেক চৌগাছা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডিপুটি কমান্ডে বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাশেম আলী , বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দীন প্রমুখ। বক্তরা বিগত সময় যারা চৌগাছা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমিটির দায়িত্বে থাকা আব্দুস ছালামের বিরুদ্ধে অর্থবাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরেন তারা।
এ সময় বীরমুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন, যুদ্ধোহত মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান, কাশেম আলীসহ একাধিক মুক্তিযোদ্ধা বলেন, তিনটি কমিটি যশোরে জমা পড়েছে। ইতোমধ্যে রুহুল আমিন ও সাজেদুর রহমান কমিটি একত্রিত হয়ে গেছে। বাকি আছে সেই বিতর্কিত ব্যক্তি আব্দুস ছালাম। তার সাথে সমঝোতা করতে আপনারা কেন তার বাসায় গেলেন ?, তিনি তো মুক্তিযোদ্ধা ভবণে আসতে পারতো। এ নিয়ে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। শুরুহয় হট্টগোল, এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে চলে যান যশোরের নেতারা।
যশোর সংসদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম ও মিরাজ (অবঃ সার্জেন্ট) বলেন, বিগত দিনে আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আছে এটি সত্য, তবে আজকে আমরা তার বাড়ীতে খানা-দানা বা কোন লেনদেন করিনি। আমরা চৌগাছায় এসে একজন মুক্তিযোদ্ধার বাসাতে যেতেই পারি এতে হট্টগোল হবে কেন।জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক আব্দুল লতিফ মোবাইলে বলেন, আমি বর্তমানে যশোরের বাইরে আছি। মুক্তিযোদ্ধাদের বিরোধ মেটাতে একটি প্রতিনিধি দল চৌগাছায় পাঠানো হয়েছে। তবে তারা যদি কারো কোন ব্যক্তির বাসায় গিয়ে উঠেন সে দায় তো আর আমার সংসদ নিবে না। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিউএনবি/অনিমা/২৯ আগস্ট ২০২৫/রাত ৮:৫৯