সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন

রাতে যে সুরা পড়লে সংসারের অভাব দূর হয়

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫
  • ৩১ Time View

ডেস্ক নিউজ : মুফতি জাকারিয়া হারুন

এই সুরা প্রত্যেক রাতে তেলাওয়াত করলে কেউ না খেয়ে মারা যাবে না বলে ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মাগরিবের পর তেলাওয়াতের কথা বলা হয়। তবে কেউ রাতের শুরুর দিকে তেলাওয়াত করলেও এই ফজিলত পাবে আশা করি।

এ ফজিলতের সমর্থনে বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিস বায়হাকি শরিফে রয়েছে। সেখানে তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সুরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করবে, তাকে কখনো দারিদ্র স্পর্শ করবে না। (বায়হাকি ২৪৯৮)তাফসিরে মাআরেফুল কোরআনে রয়েছে, হজরত উসমান গনি (রা.) যখন হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে কিছু দিতে চাচ্ছিলেন যাতে তার মেয়েরা দারিদ্রে না ভোগেন। তখন  হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন,


আপনি চিন্তা করছেন যে, আমার মেয়েরা দারিদ্র ও উপবাসে পতিত হবে। কিন্তু আমি এমনটা ভাবি না। কারণ, আমি আমার মেয়েদের জোর নির্দেশ দিয়ে রেখেছি যে, তারা যেন প্রতি রাতে সুরা ওয়াকিয়া পাঠ করে। কারণ, আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি,
যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা ওয়াকিয়া পাঠ করবে, সে কখনো উপবাস করবে না। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন, ৮/২৬৫)এ সুরায় বলা হয়েছে কেয়ামতের দিন মানুষের বিভিন্ন অবস্থা ও অবস্থানের কথা। বলা হয়েছে যে কেয়ামতের দিন পৃথিবী প্রকম্পিত হবে এবং পাহাড় ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে। শেষ বিচারের দিন মানুষ তিন ভাগে বিভক্ত হবে—১. আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্তরা, ২. ডান হাতের সঙ্গীরা, এবং ৩. বাম হাতের সঙ্গীরা।


এ সুরায় জাহান্নামের ভয়াবহ বর্ণনা করা হয়েছে। পাশাপাশি জান্নাতের অপরিসীম ও অফুরন্ত নেয়ামতের কথাও বর্ণিত হয়েছে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১০ আগস্ট ২০২৫/রাত ১১:০৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit