ডেস্ক নিউজ : চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে সাহসিকতার সঙ্গে আহতদের চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে আসায় ‘জুলাই কন্যা অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ পেয়েছেন সহোদর দুই নারী চিকিৎসক। তারা হলেন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ভিট্রিও-রেটিনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. যাকিয়া সুলতানা নীলা ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের (মমেক) সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. ইসরাত জাহান ইভা।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশন তাদের পুরস্কৃত করে। প্রধান অতিথি হিসাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন। এ সময় বাছাইকৃত মোট ১০০ নারীকে জুলাই কন্যা অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ডা. যাকিয়া সুলতানা নীলা ও ডা. ইসরাত জাহান ইভা আপন দুই বোন। দুজনেই নিয়োজিত চিকিৎসা পেশায়। এই পেশাগত পরিচয়ই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হয়ে উঠেছিল তাদের অস্ত্র। পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ও তার পেটোয়া বাহিনীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আহতদের চিকিৎসায় সর্বস্ব দিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন তারা। সেই সাহসী অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এ দুই বোন পেয়েছেন ‘জুলাই কন্যা অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ডা. নীলা চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে আওয়ামীপন্থি চিকিৎসকদের বাধা ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আহতদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত হন। তিনি জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসাসেবার কো-অর্ডিনেটরের ভূমিকাও পালন করেন।
ওই সময়ের স্মৃতিচারণ করে ডা. যাকিয়া সুলতানা নীলা বলেন, ‘নির্দিষ্ট একটি দলের মদদপুষ্ট চিকিৎসকরা হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে, যেন আহতদের চিকিৎসাসেবা না দেই। আমাকে আয়নাঘরে পাঠানোর হুমকি দেওয়া হয়। তার পরেও ভয়কে অগ্রাহ্য করে হাসপাতালের চিকিৎসকরা আহতদের সেবায় এগিয়ে এসেছেন। আমরা আমাদের সর্বস্ব দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম।’
ডা. ইসরাত জাহান ইভা মেডিভয়েসকে জানান, জাতীয় বীরদের সেবা দিতে পেরে প্রশান্তি অনুভব করছি। তিনি বলেন, যতদিন বেঁচে থাকব, এই ভেবে মনে একটা প্রশান্তি কাজ করবে।
কিউএনবি/আয়শা/৯ আগস্ট ২০২৫/রাত ১০:৪৩