স্পোর্টস ডেস্ক : দ্য ওভাল টেস্টের প্রথম দিনে বাউন্ডারি বাঁচানোর চেষ্টা করতে গিয়ে ওকস অস্বাভাবিকভাবে পড়ে গিয়ে কাঁধে আঘাত পান। ধারণা করা হচ্ছে তার কাঁধের হাড় স্থানচ্যুত হয়ে গেছে। ৩৬ বছর বয়সী ওকস স্ক্যানের ফলাফলের অপেক্ষায় আছে। চোটের গুরুত্বর ওপর নির্ভর করে তিনি অস্ত্রোপচার বা পুনর্বাসনের মাধ্যমে কাঁধের শক্তি ফেরানোর মধ্যে যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন। তবে, এই পেসার অস্ত্রোপচারের বদলে পুনর্বাসনের মাধ্যমে সেরে ওঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মূলত অ্যাশেজ সিরিজে খেলার জন্যই অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না ওকস। অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট ২১ নভেম্বর পার্থে শুরু হবে। শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিবিসি স্পোর্টসকে বলেন, ‘আমার মনে হয়, আবারও চোট লাগার সম্ভাবনা থাকবে, তবে সেটা হয়তো মেনে নেওয়ার মতো ঝুঁকি। ফিজিও এবং বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে যা শুনেছি, অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসনে প্রায় তিন থেকে চার মাস সময় লাগবে। সেটা অ্যাশেজ ও অস্ট্রেলিয়ার সিরিজের একেবারে কাছাকাছি, তাই ব্যাপারটা কঠিন। পুনর্বাসনের মাধ্যমে প্রায় আট সপ্তাহে কাঁধ শক্ত করা সম্ভব, সেটাও একটা বিকল্প হতে পারে। তবে আমরা এখনো পূর্ণ রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি।’
ওভাল টেস্টের বাকি সময় আর বোলিং বা ফিল্ডিং না করলেও শেষ দিনে দলের প্রয়োজনে ব্যাটিংয়ে নামেন ওকস। তখন তার বাঁ হাত স্লিংয়ে বাঁধা ছিল। ১৭ রান প্রয়োজনের সময় ১১ নম্বরে নেমে তিনি কোনো বলের মুখোমুখি হননি, তবে ননস্ট্রাইক প্রান্তে দৌড়ে চার রান নেন, এরপর গাস অ্যাটকিনসন বোল্ড হয়ে গেলে ভারত ছয় রানে জিতে সিরিজ ২-২ এ সমতায় আনে। ওকস তার সাহসিকতার জন্য প্রশংসা পেলেও তিনি সেটাকে বড় করে দেখেননি।
তার ভাষায়, ড্রেসিংরুমে অন্য কেউ হলেও একই কাজ করত। ‘আমার চোখে এটা ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার। সেই মুহূর্তে আমার লক্ষ্য ছিল গাসকে নিয়ে যেকোনোভাবে ম্যাচটা জেতা। দুর্ভাগ্যবশত সেটা হয়নি, তবে আমি কৃতজ্ঞ যে আমি লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলাম এবং দলের জন্য চেষ্টা করেছিলাম।’–তিনি যোগ করেন।
কিউএনবি/আয়শা/৯ আগস্ট ২০২৫/বিকাল ৪:৫০