আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অধ্যাপক বলেন, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ একটি ‘বাজে সিদ্ধান্ত’ এবং তা কেবল বালি দিয়ে গড়ার মতো। ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এই মন্তব্য করলেন এই অর্থনীতিবিদ।
হ্যাঙ্ক আরও বলেন, প্রধান বিষয় হল নেপোলিয়নের পরামর্শ অনুসরণ করা। তিনি বলেছিলেন, শত্রুর সাথে হস্তক্ষেপ করে নিজের ধ্বংস ডেকে আনবে না। আমার মনে হয় ট্রাম্প নিজেকে ধ্বংস করছেন। আমি মনে করি ভারতের ক্ষেত্রে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের উচিত তাদের তাস বুকের কাছে রাখা এবং অপেক্ষা করা। আমার মনে হয়, ট্রাম্পের তাসের ঘর ভেঙে পড়বে।
অধ্যাপক হ্যাঙ্ক দাবি করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে কারণ আমেরিকানদের ব্যয় মোট জাতীয় উৎপাদনের চেয়ে বেশি। তাই এই অর্থনীতি সম্পূর্ণ ভুল পথে যাচ্ছে। ট্রাম্পের শুল্ক অর্থনীতি একেবারেই আবর্জনা। বুধবার, রাশিয়ান তেল কেনার কারণে ভারতের বিরুদ্ধে তার শুল্ক আক্রমণ আরও তীব্র করে তুলেছেন ট্রাম্প। ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন এবং পরবর্তীতে তা দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশে উন্নীত করেছেন।
ভারত একে অন্যায়, অযৌক্তিক এবং অন্যায্য বলে দাবি করেছে। যা তাদের বস্ত্র, সামুদ্রিক এবং চামড়া রপ্তানির মতো খাতগুলোকে তীব্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার বলেছেন যে অর্থনৈতিক চাপের মুখে নয়াদিল্লি পিছু হটবে না। এদিকে, রাশিয়া এবং চীন উভয়ই ভারতের উপর অবৈধ বাণিজ্য চাপ প্রয়োগের জন্য ট্রাম্পের সমালোচনা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ভারতের উপর ৫০ শতাংশ জরিমানা আরোপের আগে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এমন অনেক বক্তব্য শুনতে পাচ্ছি যা আসলে হুমকিস্বরূপ, রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করতে দেশগুলোকে বাধ্য করার প্রচেষ্টা। আমরা এই ধরনের বক্তব্যকে বৈধ বলে মনে করি না।
ভারতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত জু ফেইহং ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেন, অন্যান্য দেশকে দমন করার জন্য শুল্ককে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা জাতিসংঘের সনদের লঙ্ঘন যা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মকে দুর্বল করে। তা অজনপ্রিয় এবং অস্থিতিশীল।
সূত্র: এনডিটিভি
কিউএনবি/আয়শা/৯ আগস্ট ২০২৫/বিকাল ৪:২৮