বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম

দুপুরের খাবারের পরে ১০ মিনিট কেন হাঁটবেন?

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫
  • ৬৫ Time View

লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : দুপুরের খাবারের পরে একটু বিশ্রাম নেওয়া যেন আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাস। কেউ বাড়িতে থাকুন বা অফিসে- খাওয়ার পর শুয়ে বা বসে থাকার প্রবণতা প্রায় একই রকম। 

কিন্তু চিকিৎসকদের মতে- এই অভ্যাস শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। তবে এই সময় যদি মাত্র ১০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা যায়, তবে তা শরীরের পক্ষে হতে পারে অভাবনীয় উপকারী।

ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের চিকিৎসকদের মতে- প্রতিদিন দুপুরের খাবার খাওয়ার পরে যদি অন্তত ১০ মিনিট হাঁটা যায় অর্থাৎ প্রায় ১,০০০ পা ফেলা যায় তবে তা হজম থেকে শুরু করে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস পর্যন্ত একাধিক সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। মাত্র এক সপ্তাহ এই অভ্যাস বজায় রাখলেই শরীরে ইতিবাচক পরিবর্তন চোখে পড়বে।

অনেকেই ভাবেন- এক হাজার পা হাঁটা অনেকটুকু পথের ব্যাপার। বাস্তবে তা এক কিলোমিটারও নয়। সক্রিয়ভাবে হাঁটলে এই পথ পেরোতে সময় লাগে মাত্র ১০ মিনিটের মতো। অফিসে কিংবা বাড়িতে, সময় বের করলেই এই অভ্যাস গড়ে তোলা সম্ভব।

খাওয়ার পরে হাঁটাহাঁটির উপকারিতা- 

হজমের উন্নতি-

খাওয়ার পরে হাঁটলে হজমের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম নিঃসরণে সাহায্য হয়। এতে পেটের গ্যাস, অ্যাসিড রিফ্লাক্স ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে যেতে পারে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক-

পেশিগুলি খাবার থেকে আসা কার্বোহাইড্রেট ও গ্লুকোজ শোষণ করে নেয়, ফলে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে-

বিপাকের হার বাড়ায়, ফলে ক্যালরি খরচ বেশি হয় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

হৃদ্স্বাস্থ্য উন্নত করে-

শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং এলডিএল বা ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে-

হাঁটার ফলে এনডরফিন নামক ‘হ্যাপি হরমোন’ নিঃসৃত হয়, যা মানসিক চাপ কমায় এবং মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। কাজের মনোযোগ বাড়ে ও উদ্বেগ কমে। দুপুরের খাবারের পরে শুধু শুয়ে না পড়ে যদি মাত্র ১০ মিনিট সময় হাঁটার জন্য বরাদ্দ করা যায়, তবে তা হতে পারে স্বাস্থ্যের পক্ষে এক বড় সঞ্চয়। 

কিউএনবি/অনিমা/০৯ জুলাই ২০২৫,/রাত ১০:০৭

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit