স্পোর্টস ডেস্ক : ইংল্যান্ডের মাটিতে কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে অধিনায়কত্বের অধ্যায় শুরু করবেন শুভমান গিল। কঠিন এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার আগে গিলের অধিনায়কত্বের প্রশংসা করেছেন জস বাটলার। গিলের অধীনে সবশেষ মৌসুমে গুজরাট টাইটান্সে খেলেছেন সাদা বলে ইংল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে তার মাঝে ভারতের সাবেক দুই অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার গুনের সমন্বয় দেখতে পেয়েছেন বাটলার। এই ইংলিশ তারকার মতে, ইংল্যান্ড সিরিজে গিলের নেতৃত্বের মধ্যে থাকা কোহলির ‘তীব্রতা’ এবং রোহিতের ‘পরিপক্বতা ও স্থিরতা’র মিশ্রণ দেখা যাবে।
গিলের অধিনায়কত্বে গুজরাট সবশেষ আইপিএলে প্লে-অফে খেলেছে এবং তারা দুজনই আসরে ৫০০ এর বেশি রান করেছেন। সম্প্রতি তার নতুন পডকাস্ট ‘ফর দ্য লাভ অব ক্রিকেট’–এ জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থ স্টুয়ার্ট ব্রডের সঙ্গে আলাপচারিতায় বলেন, সাবেক দুই পূর্বসূরির সেরা গুনের মিশ্রণের পাশাপাশি গিলের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিও আছে।
তিনি বলেন, ‘সে একজন সত্যিই দারুণ খেলোয়াড় এবং অসাধারণ এক তরুণ। সে যখন কথা বলে, তখন খুব শান্ত এবং পরিমিতভাবে কথা বলে, কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, আমি মনে করি মাঠে সে একটু লড়াকু মানসিকতার — তার মধ্যে একটা তীব্রতা আছে, বেশ আবেগপ্রবণও। আমি মনে করি, সে কোহলি ও রোহিতের একটি মিশ্রণ হবে।’তুলনা টানতে গিয়ে বাটলার আরও বলেন, ‘কোহলি ছিলেন একদম আক্রমণাত্মক ধাঁচের—তিনি সত্যিকার অর্থেই ভারতীয় দলটাকে বদলে দিয়েছিলেন, সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া, চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া তার গুন।’
‘কিন্তু রোহিত ছিলেন একটু অন্যরকম—আরও বেশি শান্ত, স্বচ্ছন্দ, ঠান্ডা মেজাজের, তবে তার মধ্যেও ছিল লড়াইয়ের মানসিকতা। শুভমানকে আমি যতটা চিনেছি, তাতে মনে হয়েছে সে ঠিক মাঝামাঝি ধরনের হবে। স্পষ্টতই সে এই দুইজনের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছে… তবে শেষ পর্যন্ত সে হবে একদম নিজের মতো করে একজন নেতা।’–বাটলার যোগ করেন। ভারতের অধিনায়কত্ব করাটা কতটা চাপের তাও জানিয়েছেন। সেই চাপ গিল কীভাবে সামাল দেন সেটাই দেখার বিষয়, ‘আমরা মনে হয় না পুরোপুরি বুঝতে পারি, এই ছেলেগুলোর প্রতি আগ্রহ ও তারকাখ্যাতি কী মাত্রার। আইপিএলের সময় আপনি সেটা দেখতে পান, বোঝা যায়, কিন্তু যখন আপনি নিজেই সেটা অনুভব করেন… তখন ব্যাপারটা একেবারেই আলাদা। আমার মনে হয়, মানুষ বলে যে, ভারতের টেস্ট অধিনায়ক দেশের তৃতীয় বা চতুর্থ সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি—প্রধানমন্ত্রী , প্রমুখের পরেই। অর্থাৎ, আপনি আসলেই এক বিশাল উচ্চতায় অবস্থান করেন।’
‘এটা তার জন্য বিশাল একটা দায়িত্ব হতে যাচ্ছে। সে অবশ্য দুই মৌসুম আইপিএলে নেতৃত্ব দিয়েছে, যেটা একটা বড় চাপের কাজ। আর ও দেখতে অনেকটাই রাজপুত্রের মতো। কোহলি হলো রাজা, শুভমান রাজপুত্র–এভাবেই তারা বলে এবং আমারও মনে হয়, সেই সামনে জায়গাটা নেবে। চার নম্বর ব্যাটিং পজিশনে নামা, এটা তো বিশাল ব্যাপার তাই না? কোহলির পরে আর তার আগে শচীন টেন্ডুলকার এখানে ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই এটা একটা বিশাল ভূমিকা।’
কিউএনবি/আয়শা/১৭ জুন ২০২৫, /বিকাল ৪:০০