স্পোর্টস ডেস্ক : ২০২৩ এর ১৮ অক্টোবর উরুগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন নেইমার। তার ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট ও মেনিস্কাস ছিঁড়ে যাওয়ায় দীর্ঘ সময়ের জন্য মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় তাকে। এরপর দীর্ঘ এক বছর মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে নেইমারকে। গত বছর অক্টোবরে আল নাসরের হয়ে মাঠে ফিরলেও ফের ইনজুরিতে পড়ে ক্লাব ছাড়তে হয়েছে। ব্রাজিলে ফিরে আপাতত নিজের শৈশবের ক্লাব সান্তোসের হয়ে খেলছেন নেইমার।
গত মার্চেই জাতীয় দলে ফেরার কথা ছিল নেইমারের। দলে ডাকও পেয়েছিলেন। কিন্তু ইনজুরি ফের পথের কাটা হয়ে দাঁড়ানোয় সে দফাও আর ফেরা হয়নি তার। সে দফায় কলম্বিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারালেও আর্জেন্টিনার কাছে ৪-১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয় ব্রাজিল। এরপর চাকরি হারান কোচ দরিভাল। নতুন কোচ হয়ে এসেই আনচেলত্তি জানিয়েছিলেন, তার পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছেন নেইমার। ফলে জাতীয় দলে তার ফেরাটা সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে ছাড়াই দল ঘোষণা করলেন আনচেলত্তি।
নেইমারকে দলে না রাখার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আনচেলত্তি। মূলত সদ্যই ইনজুরি থেকে সেরে ওঠা নেইমারকে আরও সময় দেয়ার পক্ষপাতী তিনি। দল ঘোষণার পর তিনি বলেন, ‘ভালো অবস্থায় থাকা খেলোয়াড়দেরই আমি দলে নেয়ার চেষ্টা করেছি। নেইমার তালিকায় নেই কারণ সে মাত্রই ইনজুরি থেকে ফিরেছে। আমি নেইমির সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমরা এতে সম্মত হয়েছি।’মাত্রই ইনজুরি থেকে ফিরে দুটি ম্যাচ খেলেছেন নেইমার। একটিতেই প্রথম একাদশে ছিলেন না তিনি। ফলে পরিকল্পনায় থাকলেও এখনোই তাকে দলে নেয়ার ঝুঁকি নেননি এই ইতালিয়ান কোচ, ‘আমি নেইমারকে বিশ্বাস করি, আমি তাকে হিসেবে ধরছি, আমরা চাই সে সেরা অবস্থায় থেকে বিশ্বকাপে যাক।’
জোয়েলিনটন, রদ্রিগো, এদারসন এবং মিলিতাওকেও যে ইনজুরির কারণেই দলে রাখেননি সেটাও নিশ্চিত করছেন ব্রাজিলের এই নতুন কোচ। এদিকে দুই বছর পর দলে ডাক পেয়েছেন ক্যাসেমিরো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা সাবেক এই শিষ্যকে দলে নেয়ার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আনচেলত্তি বলেন, ‘আমার মতে, সে একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড়। আমি এক সময় তাকে পাওয়ায় সৌভাগ্যবান মনে করি, আমার মনে হয় জাতীয় দলে এমন খেলোয়াড় থাকা দরকার যার মধ্যে ক্যারিশমা, ব্যক্তিত্ব ও প্রতিভা আছে। ব্রাজিলের সবসময় অসাধারণ সব প্রতিভা ছিল।’
প্রথমবার ঘোষিত দলে রিয়াল মাদ্রিদের শিষ্য ভিনিসিউস জুনিয়রকেও ডেকেছেন আনচেলত্তি। রিয়াল মাদ্রিদের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হলেও ব্রাজিলের জার্সিতে প্রতিভার ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারেননি এই উইঙ্গার। ২০১৯ সালে অভিষেকের পর ৩৯ ম্যাচ খেলে ফেললেও মাত্র ৬টি গোল করেছেন এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। তার ব্যাপারে এই ইতালিয়ান কোচ বলেন, ‘এটা বলা কঠিন, কারণ ভিনি এখনও তার সেরা দিকটা এখনও দেখাতে পারেননি। এটা এখনও হয়নি কিন্তু এবার হবে, কারণ সে একজন অসাধারণ খেলোয়াড়, পরিশ্রমী এবং লড়াকু।’
তিনি যোগ করেন, ‘সত্যিটা হলো ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়রা তাদের জাতীয় দলকে ভীষণ পছন্দ করে এবং এটাই হয়ত তাদের স্বাভাবিক চিন্তায় প্রভাব ফেলে, এর ফলে তারা কখনো কখনো ভালো করতে তারা বেশি চাপ নিয়ে ফেলে। এটা তাদের ভালো নৈপুণ্য প্রদর্শনে বাধা দেয়। আমি পুরোপুরি নিশ্চিত ভিনি জাতীয় দলে তার সেরা রূপে হাজির হবে।’
কিউএনবি/আয়শা/২৭ মে ২০২৫, /সন্ধ্যা ৬:০০