শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০২:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বাংলাদেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে অপতথ্য ছড়াচ্ছেন শোয়েব চৌধুরী: প্রেস উইং অর্থনীতির ভিত সমৃদ্ধ করতে টেকসই সমুদ্রনীতি গড়তে হবে: প্রধান উপদেষ্টা সময় এসেছে দেশকে নতুন করে গড়ে তোলার: মির্জা ফখরুল ফরিদপুরে সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু ‘রোগীরা শ্বাসকষ্টে ভুগছে’—বিস্ফোরণের ধোঁয়া নিয়ে উদ্বেগ ইরানে মনিরামপুরে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা খিয়ার মির্জাপুর জামে মসজিদের নতুন কমিটি গঠন  সংঘাত বন্ধে ইরানকে কূটনৈতিক প্রস্তাব দেবে ফ্রান্স ইরানে হাসপাতালে হামলার প্রমাণ আন্তর্জাতিক সংস্থায় পাঠাবে রেড ক্রিসেন্ট ২০২৪ সালে শিশুদের প্রতি সহিংসতা ‘ভয়াবহ মাত্রায়’: জাতিসংঘ

নিজ হাতে কেক বানিয়ে অনলাইনে বিক্রি করে আয় মাসে ৩৫ হাজার টাকা

মোঃ আশিকুর ইসলাম বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর, প্রতিনিধি
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫
  • ২৯ Time View

মোঃ আশিকুর ইসলাম বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর, প্রতিনিধি : কেক খেতে কে না পছন্দ করে, ছোট থেকে বড় সবার কাছে কেক মানে আলাদা একটা ভালোলাগা। শুধু তাই নয়,বর্তমানে যে কোন উপলক্ষে বা খুশির দিনে কেক কাটা হয়ে থাকে। আর এই কেক তৈরি করে নারী  উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হয়েছেন দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার মেয়ে সিনথিয়া ঝলক। এখন নিজের হাতের বানানো এই কেক বিক্রয় করে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা আয় করেন তিনি।সফল নারী উদ্যোক্তা সিনথিয়া ঝলক বলেন, আমি স্ব-নির্ভরশীল হওয়ার জন্য ২০১৫ সালে “চিলড্রেন কেয়ার কোচিং সেন্টার” নামে একটা কোচিং সেন্টার চালু করি। সেখানে আমার তত্ত্বাবধানে ২ জন শিক্ষক ছিল। অনেক ভালো নাম ডাক হয়েছিল কোচিং সেন্টারের। কিন্তু করোনার শুরুর পর থেকে কোচিং সেন্টারটি বন্ধ রাখার কারণে ধস নামা শুরু করে। ছাত্র-ছাত্রী অনেক কমে যায়। তখন কোচিং সেন্টারটি আমি বন্ধ করে দেই। তারপর একদিন দিনাজপুরে এক আপুর সাথে দেখা হয় আর সেখানে উনার একটা কেক খেয়েছিলাম যেটার টেষ্ট আমার অনেক ভালো লাগে ।তখন থেকে আমার আগ্রহ হল কেক তৈরি করার ও শেখার।

তিনি আরও বলেন, আমি যখন কেক তৈরির প্রশিক্ষন নিয়ে থাকি তখন আমার কোর্স ফি দেওয়ার মতো টাকা ছিল না।আমি তখন কিছু লোন নিয়ে কেক এর ক্লাসে ভর্তি হই। কিন্তু আজ আমি ভাবি তখন যদি আমি খরচের ভয় করে পিছিয়ে যেতাম আজকে এই স্থানটা পেতাম না।সিনথিয়া ঝলক আরও বলেন,কেক বানানো শেখার পর আমি “sana homemade cake and food gallery” নামে একটি পেজ তৈরি করি। অনলাইনে পোস্ট করি। সেখান থেকে আস্তে আস্তে অর্ডার পেতে শুরু করি। প্রথম প্রথম মাসে ৩,৪ টা অর্ডার আসতো। কেনোনা তখন বোচাগঞ্জের মানুষের কাছে এই কেক গুলো অনেক দামি হতো। কিন্তু যখন তারা কোয়ালিটি আর টেষ্ট বুঝতে শুরু করলো তখন আস্তে আস্তে আমার অর্ডার বাড়তে শুরু করে। এখন আমি দিনে ৭,৮ টা কেক অর্ডার পেয়ে থাকি। কখনও কখনও ২০ থেকে ৩০ পাউন্ড ও অর্ডার পেয়ে থাকি।

তিনি বলেন, হোমমেড কেকের প্রতি মানুষের ধারণা বদলেছে। তারা জানেন, ঘরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে
কোয়ালিটি মানের কেক তৈরি করা যায়। আর বোচাগঞ্জে দিন দিন এসব কেকের চাহিদাও বাড়ছে।’কোন ধরনের কেক বানাতে আপনি পারদর্শী, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি বিভিন্ন প্রকারের কেক তৈরি করে থাকি। তার মধ্যে ভ্যানিলা স্পঞ্জ কেক,চকলেট স্পঞ্জ কেক, রেড ভেলভেট স্পঞ্জ কেক, অরেঞ্জ ডিলাইট স্পঞ্জ কেক, স্ট্রবেরি স্পঞ্জ কেক, ব্ল্যাক ফরেস্ট স্পঞ্জ কেক, হোয়াইট ফরেস্ট স্পঞ্জ কেক, মার্বেল কেক,কাপকেক সহ বিভিন্ন ডিজাইনের কেক তৈরি করে থাকি। এছাড়াও আমি ক্রেতাদের পছন্দ অনুযায়ী হুবহু ডিজাইন সংবলিত কেক তৈরি করে দিয়ে থাকি।

কিউএনবি/অনিমা/১৩ মে ২০২৫, /রাত ৯:১৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit