মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন

আতা, সফেদা ও গাব খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণসহ আরও যেসব উপকার মিলবে

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৪৮ Time View

লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : আতা, সফেদা কিংবা গাব খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। গরমে আরাম পাবেন। তিনটি ফলেই রয়েছে ফ্রুক্টোজ। ফ্রুক্টোজ থেকে মিলবে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালরি। অর্থাৎ এসব ফল খেলে আপনি গরমের ক্লান্তিকর দিনেও শক্তি পাবেন। গরমে দেহ থেকে ঘামের সঙ্গে সোডিয়াম বেরিয়ে যায়। দেহের স্বাভাবিক কার্যক্রমের জন্য সোডিয়াম খুবই জরুরি।

এসব ফলে সোডিয়াম থাকে। তাই গরমের সময় এসব ফল দেহের দারুণ কাজে আসে। আতার বীজ ফেলে স্মুদি করতে পারেন। গাব দিয়েও হতে পারে স্মুদি। এসব ফল দিয়ে তৈরি পানীয় খেলে দেহে পানির চাহিদাও মিটবে। তবে ফল বা ফলের রসে চিনি যোগ না করাই ভালো। প্রয়োজনে সামান্য মধু দিতে পারেন। সফেদা দিয়ে সালাদ কিংবা কাস্টার্ডও হতে পারে। এসব খাবার গরমের দিনে পেটের জন্য ভালো।

ওজন নিয়ন্ত্রণে

আতা, সফেদা ও গাবে প্রচুর আঁশ রয়েছে। এসব আঁশ পানিতে দ্রবণীয়, নরম ধরনের আঁশ। সহজেই খেয়ে নেওয়া যায়। আঁশজাতীয় খাবার হজম হয় ধীরে ধীরে। এ ধরনের খাবার খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে। ওজন নিয়ন্ত্রণেও তাই সহায়ক ভূমিকা রাখে এসব ফল। ওটস বা কর্নফ্লেক্সের সঙ্গে এসব ফলের যেকোনোটিই মিশিয়ে নিতে পারেন। তাতে স্বাদ আর পুষ্টি যেমন মিলবে, তেমনি ওজন নিয়ন্ত্রণও সহজ হবে।

আতা
আতাছবি: প্রথম আলো

আঁশের আরও উপকার

কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে আমাদের রোজই প্রয়োজন পর্যাপ্ত আঁশ, যা আপনি এই তিন ফল থেকে পাবেন। এই আঁশ খারাপ কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। এভাবে হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি এড়াতে সহায়তা করে এসব ফল। আঁশ ফেলে পানীয় তৈরি করলে অবশ্য এত উপকার মিলবে না।

খনিজ উপাদান, প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং আরও যা

এই তিন ফলে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। সোডিয়ামের কথা তো আগেই জেনেছেন। ক্যালসিয়ামও পাবেন। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, এসব ফল থেকে আপনি পাবেন ভিটামিন বি। রান্নার সময় খাবারের ভিটামিন বি হারিয়ে যায়। তাই কেবল রান্না করা খাবার খেলে আপনার ভিটামিন বির অভাব হতে পারে। স্নায়ুর স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় ও ত্বক সতেজ রাখতে ভিটামিন বি প্রয়োজন। আতা, সফেদা ও গাব থেকে আপনি পর্যাপ্ত ভিটামিন বি পাবেন। সামান্য আমিষও পাবেন।

সফেদা
সফেদাছবি: সংগৃহীত

শেষ কথা

সুস্থ ব্যক্তির জন্য এসব ফল খেতে কোনো বাধা নেই। শিশু, কিশোর ও তরুণদের জন্য এসব ফল দারুণ। তবে ডায়াবেটিস বা দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এসব ফল খেতে পারবেন কি না, পারলেও কী পরিমাণে খাওয়া তাঁদের জন্য নিরাপদ, এসব ব্যাপারে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। যাঁদের ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তাঁদের গাব খাওয়ার ব্যাপারেও একই ধরনের সতর্কতা প্রয়োজন।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৫ এপ্রিল ২০২৫,/সন্ধ্যা ৬:১২

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit