মনিরুল ইসলাম মনি, শার্শা সংবাদদাতা : যশোরের শার্শা উপজেলার পাঁচভূলাট গ্রামে আব্দুল মজিদ নামে এক মৎস চাষীর মাছের ঘের ও গভীর নলকুপ দূর্বৃত্তকতৃক দখলের অভিযোগ উঠেছে। দূর্বৃত্তরা মাছের ঘের থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ লুট করেছে। পাঁচভুলোট গ্রামের স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কাদের মোড়ল নামে এক ব্যাক্তির নের্তৃত্বে ১০/১২ জনের একটি দূর্বত্ত সন্ত্রাসী দল মৎস চাষী আব্দুল মজিদের মৎস ঘেরে হামলা করে মাছ ও নলকুপ লুট করে। কাদের ও ঐ দূর্বৃত্তদল আব্দুল মজিদকে তার মাছের ঘেরে গেলে হত্যা করকে বলে হুমকি দিচ্ছে। তারই সন্ত্রাসী দল গত বৃহস্পতিবার মাছের ঘেরে হামলা চালিয়ে মাছ লুঠ করে।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেও কোন ফল পাননি মৎস চাষী আব্দুল মজিদ। মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ জানান, শার্শা উপজেলার পাঁচভূলাট গ্রামের মাঠে তার ১৫ বিঘা জমিতে মাছের ঘের ও একটি গভির নলকুপ রয়েছে। দীর্ঘ দিন যাবত তিনি তার মাছের ঘেরে বিভিন্ন রকম মাছ চাষ করে আসছেন । তিনি আরও জানান, এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী কাদের মোড়ল মুজিদের এসব সম্পদ দখলে নেওয়ার জন্য মোটা টাকার বিনিময়ে কাদের মোড়লের ছেলে নয়ন হোসেন, আইয়ুব আলীর ছেলে উজ্জল, তবিবর শেখের ছেলে জেকের, খোরসেদের ছেলে মেহেদী, ফজের শেখের ছেলে মিঠু ও আনসারের ছেলে আজিজুল ইসলাম কে ভাড়া করে মাছের ঘেরে জাল টেনে মাছ ধনেনেন। এসব মাছ ট্রলিতে করে বেনাপোল, বাগআঁচড়া, নাভারণ ও যশোরে বিক্রি করেন। মাছ বিক্রির পর ঘের টি দখল করেছে কাদের মোড়ল। মজিদ যাতে গ্রামের বাড়ি ও মাছের ঘেরে না আসতে পারে সে জন্য কাদেরের ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা রাত দিন পাহারা দিচ্ছে।
এঘটনায় বিচার যেয়ে মজিদ শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গত ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পেয়েও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার ভূমি ও শার্শা থানা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলে দাবী আব্দুল মজিদের। স্থানীয়রা জানান, আব্দুল মজিদ দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোলে বসবাস করে।তারা বলেন এভাবে চলতে থাকলে গ্রামে নিরিহ মানুষ সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়বে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঘের লুটকারী আব্দুল কাদের কোন মন্তব্য করেননি। এ ব্যাপারে গোগা ও পাঁচভুলোট গ্রামের একাধিক বিএনপি নেতা কর্মিরা জানান, আব্দুল মজিদ ও কাদের নিকটআত্মীয়। তাদের এই হামলা ও লুটপাটের ঘঁনায় এক সশ্রেনীর কুচক্রি মহল বিএনপি’র ভাবমুর্তী নষ্ট করাচেষ্টা করছে। শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডাঃ কাজী নাজিব হাসান বলেন, অভিযোগ পেয়ে সম্ভবত সেটি শার্শা থানা ওসি কে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ফরওয়াড করেছি। তবে শার্শা থানা কোন পদক্ষেপ নিয়েছে কি না তা জানিনা। তবে বিষটিকোর পর্যায়ে আছে সেটা দেখব । শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম রবিউল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ তিনি পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে অপরাধী যেইহোক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিউএনবি/অনিমা/১৫ মার্চ ২০২৫,/বিকাল ৫:৪১