ডেস্ক নিউজ :
এ রাত সারা বছরের সমস্ত রাত অপেক্ষা সর্বাধিক মর্যাদাশীল,বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ও মহিমান্বিত বলে এ রাতের নামকরণ করা হয়েছে লাইলাতুল কদর। অথবা এ রাতের নাম লাইলাতুল কদর রাখার কারণ হলো-যে লোক মূলত মর্যাদাশীল নয় সেও যদি এ রাতে জাগ্রত থেকে ইবাদত-বন্দেগী,কান্নাকাটি, তাওবা-ইস্তিগফারের মাধ্যমে কাটায় তাহলে সে মর্যাদাশীল হতে পারে।
১. এ রাতে মহাগ্রন্থ আল-কোরআর নাজিল করা হয়েছে। ২. এ রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। ৩. এ রাতে হজরত জিবরাঈল আ. ফেরেশতাদের এক দলসহ জমিনে অবতরণ করেন। ৪. এ রাতের আরেকটি ফযীলত আর বৈশিষ্ট্য হলোঃ এ রাতে ‘সালামই’ ‘সালাম’ অর্থাৎ মঙ্গলই মঙ্গল। এতে অনিষ্টের কোন নাম-নিশানা নেই। সুবহে সাদেক পর্যন্ত এ অবস্থা বহাল থাকে। এর দ্বারা বুঝা গেল যে,লাইলাতুল কদরের ফজিলত এবং বরকত সুবহে সাদেক পর্যন্ত বাকী থাকে।
এর কারণ, তারা চিন্তা করলেন আমরা শেষ যামানার নবীর উম্মত। আমাদের গড় আয়ু ষাট-পয়ষট্টি বছর। আর আগের উম্মতেরা একাধারে জিহাদের মত গুরুত্বপূর্ণ আলমই করেছে এক হাজার মাস। আমরা বেশি হায়াত লাভ করলে বেশি বেশি ইবাদত করতে পারতাম। আল্লাহ এই উম্মতের উপর কত মেহেরবান! সাথে সাথে হযরত জিবরাঈল আ.-কে সূরা কদর দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন। হজরত জিবরাঈল আ. হাজির হয়ে রসুলুল্লাহ সা.- এর নিকট পায়গাম পৌঁছিয়ে দিলেন। রসুল কারিম সা. ইরশাদ করেন,
লাইলাতুল কদর উপস্থিত হলে হযরত জিবরাঈল আ. একদল ফেরেশতাসহ পৃথিবীতে নেমে আসেন এবং এ রাতে যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে কিংবা বসে আল্লাহর জিকরে মশগুল থাকে তাদের জন্য দোয়া করতে থাকেন। (মিশকাত) অন্য হাদিছে আরও বিস্তারিত এসেছে যে, এ রাতে হজরত জিবরাঈল আমিন আ. ফেরেশতাদের এক বিরাট জামাআত নিয়ে জমিনে অবতরণ করেন। তাদের সঙ্গে সবুজ রঙের একটা ঝাণ্ডা থাকে যা কাবা শরিফের উপর উড্ডীন করে দিয়ে ফেরেশতাগণ পৃথিবীময় ছড়িয়ে পড়েন। আল্লাহর বান্দা-বান্দীরা যে যেখানে যে অবস্থায় দাঁড়িয়ে বসে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকে, দোয়া করে,তাদেরকে তারা সালাম করে, তাদের সাথে মুসাফাহা করে এবং তাদের দোয়ায় আমিন, আমিন বলতে থাকে।
হজরত আয়শা রা. হতে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকে বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদর তালাশ কর। (বুখারি) সুতরাং ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ এই পাঁচ রাতের যেকোনো রাতে লাইলাতুল কদর হতে পারে। কাজেই উক্ত পাঁচ রাতেই লাইলাতুল কদর তালাশ করতে হবে, যদিও ২৭শের রাত প্রসিদ্ধ। লাইলাতুল কদর অনির্দিষ্ট হলেও আমাদের জন্য অনেকটাই নির্দিষ্ট। কেননা, লাইলাতুল কদর সাধারণত রমাযান মাসেই হয়ে থাকে। তা হলে বাকি এগারো মাস থেকে নির্দিষ্ট হয়ে গেল একমাস। এক মাসের মধ্যে আবার শেষ দশকেই হওয়া নির্দিষ্ট। তা হলে আরো সীমাবদ্ধ হয়ে গেল। এরপর এ দশ দিনের মধ্যে আবার বেজোড় রাত্রে হওয়া নির্দিষ্ট। তা হলে আমরা লাইলাতুল কদরকে অনেকটা নির্দিষ্টই বলতে পারি।
কিউএনবি/অনিমা/০৯ মার্চ ২০২৫,/রাত ৯:৪৩