তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানায়, শুধু ইজমির অঞ্চল থেকেই সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৪২ হাজার মানুষকে। ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগের প্রবল বাতাস দমকল বাহিনীর কাজ ব্যাহত করছে। চেশমের সঙ্গে ইজমিরের সংযোগকারী মহাসড়ক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে আগুন, বন্ধ করে দেয়া হয় যান চলাচল।
এদিকে, স্পেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কাতালোনিয়া এলাকায় একরের পর একর জমি আগুনে পুড়ছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে ছড়িয়ে পড়া আগুন তৈরি করে বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলী, যার উচ্চতা পৌঁছায় ৪৫ হাজার ফুট পর্যন্ত। আগুনে পুড়ে গেছে অন্তত ৬,৫০০ হেক্টর জমি, যার বেশিরভাগই শস্যক্ষেত।
দাবানল থেকে বাঁচতে পালানোর সময় প্রাণ হারান কয়েকজন কৃষক। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ১৪ হাজার বাসিন্দাকে ঘরের ভেতরে থাকার নির্দেশ দেয়। হঠাৎ আসা এক পশলা বৃষ্টি পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে।
একইদিনে দাবানলের কবলে পড়ে গ্রিসের পর্যটন দ্বীপ ক্রিট। দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে ইয়েরাপেত্রা অঞ্চলে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। চারটি গ্রাম ও পর্যটনকেন্দ্র খালি করে দেয়া হয়। স্থানীয় টিভিতে সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, কয়েকটি বসতবাড়িও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দমকলবাহিনী জানায়, প্রচণ্ড বাতাসে নিভে যাওয়া আগুন বারবার জ্বলে ওঠে। দেশটির রাজধানী অ্যাথেন্স থেকে নৌ ও বিমানপথে পৌঁছায় অতিরিক্ত ফায়ার ইউনিট।
ভয়াবহ এই দাবানলের পেছনে বিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন। ইউরোপজুড়ে গ্রীষ্মকালে বাড়তে থাকা তাপমাত্রা এবং দীর্ঘস্থায়ী খরায় বারবার ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে দাবানল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে সামনে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে।