শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন

ডেলিভারির সময় নবজাতকের দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫
  • ১৪১ Time View

ডেস্ক নিউজ : ২৫০ শয্যার পাবনা জেনারেল হাসপাতালে এক প্রসূতির প্রসবকালে নবজাতকের দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রসবের সময় দায়িত্ব পালনকারীদের গাফিলতি থাকতে পারে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করছে। এ ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার প্রসবকালীন দায়িত্ব পালন করা নার্স ও আয়াসহ সংশ্লিষ্টদের হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালের লেবার গাইনি ওয়ার্ডে এক প্রসূতির প্রসবকালে নবজাতকের দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হওয়ার ওই ঘটনা ঘটে।

হাসপাতাল সূত্র ও রোগীর স্বজনরা জানান, ভুক্তভোগী নারী পাবনার আতাইকুলা ইউনিয়নের আতাইকুলা গ্রামের দুবাই প্রবাসী রমজান খাঁর স্ত্রী শিউলী খাতুন (৩৫)। দুই সন্তানের জননী শিউলী তৃতীয় সন্তান গর্ভে ধারণ করেছিলেন। গর্ভবতী মা প্রথম থেকেই পাবনার গাইনি চিকিৎসক শাহীন ফেরদৌস শানুর নিয়মিত রোগী ছিলেন।

মঙ্গলবার ভোররাতে প্রসব ব্যথা উঠলে পরিবারের সদস্যরা তাকে সেহরির পরপরই ডা. শানুর শহরের বাসার চেম্বারে নিয়ে আসেন। সেখানে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসক দেখে অবস্থা জটিল মনে করে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পরামর্শ দেন। এ সময় রোগীর স্বজনরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে ভর্তির পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. দীপা মর্জিনা রোগীর প্রাথমিক পরীক্ষা করে পেটের বাচ্চা মৃত বলে জানান।

তবে পরিবারের সদস্যদের দাবি, বাচ্চা মৃত সেটি পরে জানতে পেরেছেন তারা। পরে হাসপাতালের ধাত্রী নরমাল ডেলিভারি করানোর সময় নবজাতকের মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পেটের ভেতরে রয়ে যায়। তারপর সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে পেট থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা বের করা হয়। সূত্র জানায়, ঘটনাটি প্রথমে সংশ্লিষ্টরা নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেন; কিন্তু কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেনে গেলে হাসপাতালজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জ্যেষ্ঠ গাইনি চিকিৎসক ডা. নার্গিস সুলতানাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. ফাতেমা মাসুর ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. জাহিদুল ইসলাম।

বর্তমানে ভুক্তভোগী ওই নারী হাসপাতালের লেবার গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়েছি এবং তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সাত কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করবেন। এরপরে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সহকারী পরিচালক আরও বলেন, রাতে বা সকালে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা ওই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ডেলিভারির কাজটি করা উচিৎ ছিল। এ ঘটনায় চিকিৎসকসহ যারা ছিলেন তাদের আমি ডেকে পাঠিয়েছি। সবার সঙ্গে কথা বলে জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা কী হয়েছিল।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৫ মার্চ ২০২৫,/রাত ১১:১২

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit