বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন

শিশুর জন্মের সময় দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫
  • ৭৪ Time View

ডেস্ক নিউজ : পাবনায় এক প্রসূতির সন্তান জন্মের সময় নবজাতকের দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পেট থেকে নবজাতকের মাথা বের করা হয়।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালের লেবার গাইনি ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ গাইনি চিকিৎসক ডা. নার্গিস সুলতানাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।

ভুক্তভোগী নারী পাবনার আতাইকুলা ইউনিয়নের আতাইকুলা গ্রামের দুবাইপ্রবাসী রমজান খাঁর স্ত্রী শিউলী খাতুন (৩৫)। দুই সন্তানের জননী শিউলী খাতুন তৃতীয় সন্তান গর্ভে ধারণ করছিলেন। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করেনি ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ২১ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

রোগীর পরিবারের সদস্যরা জানান, ওই প্রসূতি প্রথম থেকেই পাবনার গাইনি চিকিৎসক শাহীন ফেরদৌস শানুর পরামর্শ নিচ্ছিলেন। হঠাৎ মঙ্গলবার ভোরে পেটে ব্যথা উঠলে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে সাহ্‌রির পরপরই ডা. শানুর বাসার চেম্বারে নিয়ে যান। ডাক্তারের পরামর্শে রোগীর স্বজন তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে হাসপাতালের ধাত্রী নরমাল ডেলিভারি করানোর সময় নবজাতকের মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পেটের ভেতরে রয়ে যায়। তার পর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পেট থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা বের করা হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ও স্বজনের পাশাপাশি অন্য রোগীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. দীপা মর্জিনা রোগীর প্রাথমিক পরীক্ষা করে পেটের বাচ্চা মৃত বলে জানান। তবে পরিবারের সদস্যদের দাবি, বাচ্চা মৃত সেটি তারা পরে জানতে পেরেছেন।

ঘটনা তদন্তে গঠন করা কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. জাহিদ ইসলাম ও গাইনি বিশেজ্ঞ ডা. ফাতেমা মাসুর।

তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. নার্গিস সুলতানা বলেন, মৃত বাচ্চা নিয়েই ওই নারী এখানে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর পেটের বাচ্চার বয়সও পরিপূর্ণ ছিল না। সবেমাত্র সাত মাসে পড়েছে। সেই সময়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেই মায়ের পেটের ও জরায়ুর অবস্থা দেখে বাচ্চা মৃত বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে মায়ের পরিপূর্ণ সেবা প্রদানসহ তাঁর জন্য কী কী করণীয়, সেটির ব্যবস্থা করেছি।

তিনি আরও বলেন, পেটে থাকা মৃত শিশুটির বয়স কম হওয়ায় তার শরীরের কোনো কিছুই শক্ত ছিল না। এমনকি ওই শিশুটির দেহের মাথার অংশ পেটের ওপরে ও পা নিচের দিকে ছিল। নরমাল প্রসব করানোর সময় সেবিকারা জোরে টান দিলে ঘাড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে সিজার করে তাঁর পেট থেকে মৃত শিশুর অবশিষ্ট অংশ (মাথা) বের করা হয়। এ ঘটনা কেন হয়েছে, কোনো অসাবধানতা ছিল কিনা, সেটি তদন্ত করে দেখছি আমরা।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান বলেন, রোগীর অবস্থা এখন ভালো আছে। তদন্ত কমিটি সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। কোনো ধরনের অবহেলা পাওয়া গেলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কিউএনবি/অনিমা/০৫ মার্চ ২০২৫,/সকাল ১১:৪৬

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit