মোঃ আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি : আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের নিয়োগ প্রাপ্ত বর্তমান বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পূর্বে কয়লা খনিতে বিভিন্ন নির্মাণ কাজ সংক্রান্ত বিভাগের প্রধান ছিলেন, এছাড়া তিনি মহাব্যবস্থাপক (মাইনিং) পদে দীর্ঘদিন দায়িত্বে ছিলেন। এ সময় তিনি চাইনিজ ঠিকাদার এক্সএমসি-সিএমসি কনসোর্ট টিএমের সঙ্গে কয়লা উৎপাদন ও মালামাল আমদানি সংক্রান্ত চুক্তির ইঞ্জিনিয়ার টু কন্টাক্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় তিনি অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে প্রচুর অবৈধ অর্থ উপার্জন করার অভিযোগ উঠেছে। খনির একাধিক কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী চাইনিজ ঠিকাদার তাকে মোটা অংকের উৎকোচ প্রদান করে একাধিক নিম্নমানের যন্ত্রপাতি আমদানি করেছে।
যন্ত্রপাতি সমূহ নিম্নমানের হওয়ায় আয়ুষ্কালের পূর্বেই অর্থাৎ লাইফ টাইম এর পূর্বে বিকল হয়ে যায় এই সমস্ত বিকল মালামাল /যন্ত্রপাতি বর্তমানে বিক্রয়ের জন্য বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার একটি স্ক্রাব নীতিমালা ২০২২ প্রণয়ন করেন।স্ক্রাব নীতিমালার ১৬.০ ধারার তিনটি উপধারা উল্লেখ করা হয়েছে। এমডি সাইফুল ইসলাম সরকার দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ার জন্য স্ক্রাব নীতিমালার ১ ও ২নং ধারা অনুসরণ না করে ৩ ধারায় দুর্নীতি করার সুযোগ থাকায় তা অনুসরণ করেন। অপরদিকে স্ক্রাব মালামাল সংক্রান সুপ্রিম কোর্টের মামলায় আট সপ্তাহ স্থগিত আদেশ থাকা সত্ত্বেও এমডি সাইফুল ইসলাম সরকার সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করে গত
২৬/০২/২০২৫ তারিখে স্ক্রাব সরবরাহ আদেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য যে, মেজর মোঃ জিয়াউল আহসান (অব:) উপ-মহাব্যবস্থাপক ট্রেডিং ডিভিশন সেনা কল্যাণ সংস্থা গত ২৩/০২/২০২৫ইং তারিখে বিক্রয়কৃত মালামাল ডেলিভারি প্রসঙ্গে মেসার্স রহিমা এন্টারপ্রাইজ এর ১৮/০২/২০২৫ইং তারিখে পত্র ও খধুি ঈবৎঃরভরপধঃব-এর উপর মতামত প্রদান প্রসঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক,চৌহাটি, পাবর্তীপুর, দিনাজপুর বরাবর একটি পত্র প্রদান করেন । যাহার স্মারক নং- এসকেএস/টিডি/২০/১৭০। তিনি ঐ পত্রে উল্লেখ্য করেন সেনা কল্যান সংস্থা কর্তৃক নিলামের মালামাল ক্রয় করেছেন। বরাত ‘ক’ এর আলোকে তিনি জানান, সেনা কল্যান সংস্থা কর্তৃক কোন চুক্তিতে অবদ্ধ হয় নি। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সাথে দপ্তরিক কার্যক্রম সমূহ দ্রুত সম্পাদনের নিমিত্তে সমন্বয় সাধনের জন্য অত্র সংস্থা মফিজুল কে মনোনীত করেছিলেন যা পরবর্তীতে বরাত ‘খ’ এর মাধ্যমে বালিত করা হয়েছে।
প্রকৃত ঘটনা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল কাদেরের আত্মীয় মোঃ আলমগীর কে পার্টনার হিসাবে গ্রহণ করেন সেনা কল্যাণ সংস্থা।পরবর্তীতে তাকেও বাদ দিয়ে মোঃ সাইমুর কাদের কে মনোনীত করেন এবং গত ২৭/০২/২০২৫ইং তারিখে খনি থেকে এক ট্রাক স্ক্রাব বের করে দেন। যাহার গেট পাস নং- ২৫১, ট্রাক নং-ঢাকা মেট্র-ট ১৮-৭২৯৯। এ বিষয়ে মোঃ মফিজুল ইসলাম এর সাথে ০১৯৯৯৮০৩৮১১ এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সেনা কল্যান সংস্থার প্যাড ব্যবহার করে স্ক্রাব ক্রয় করেন অন্যকেউ। সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করে গত ২৬/০২/২০২৫ তারিখে স্ক্রাব সরবরাহ আদেশ প্রদান করেন বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার। স্ক্রাব বাহির করা নিয়ে কেন এত তোড়ঝোড় কেন তা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করেন সচেতন মহল।
কিউএনবি/অনিমা/০৩ মার্চ ২০২৫,/বিকাল ৫:১২