শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৩০ পূর্বাহ্ন

শপথের আগে ওয়াশিংটনে ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৬০ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার দু’দিন আগে ওয়াশিংটনের রাস্তায় বিক্ষোভ করলো হাজার হাজার মানুষ, যাদের বেশিরভাগই নারী। নিউইয়র্ক ও সিয়াটলেও ট্রাম্প বিরোধী ছোটখাটো প্রতিবাদ হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ কর্মসূচির নাম দ্যা পিপলস মার্চ, যা আগে উইমেন’স মার্চ হিসেবে পরিচিত ছিল। কয়েকটি গ্রুপের একটি জোটের আয়োজক। তাদের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, তারা ‘ট্রাম্পিজম’ এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে।

এসব প্রতিবাদ র‍্যালী এমন সময় হলো যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য শপথ গ্রহণ করতে দেশটির রাজধানীতে এসে পৌঁছেছেন। শপথের আগেও বেশ কয়েকটি ইভেন্টে যোগ দেওয়ার কথা আছে তার।

তবে ওয়াশিংটন ডিসিতে শনিবারের এই পিপল’স মার্চের অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা আগের চেয়ে কম। আয়োজকরা ৫০ হাজার মানুষের অংশগ্রহণ আশা করলেও জমায়েত হয় পাঁচ হাজারের মতো।

লিঙ্কন মেমোরিয়ালের দিকে যাত্রা শুরুর আগে প্রতিবাদকারীরা তিনটি পার্কে জমায়েত হয়। যারা এই কর্মসূচির আয়োজন করে, তারা বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক বিষয়ে কাজ করে। এর মধ্যে আছে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন ও নারী অধিকার।

এদিকে শনিবার ওয়াশিংটন মনুমেন্টের সাথে জমায়েত হয়েছিল একদল ট্রাম্প সমর্থকও। সেখানে ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন” লেখা হ্যাট পরিহিত একজনকে উদ্দেশ্যে করে পিপলস মার্চের একজন নেতা বলেছেন “নো ট্রাম্প, নো কেকেকে”।

ট্রাম্প ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে প্রথমবারের মতো পিপলস মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। নারীরা তখন ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পরদিন প্রতিবাদ কর্মসূচি দিয়েছিল যাতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়।

পরে এই আন্দোলন রাজধানী থেকে অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। পরের কয়েক বছরে ট্রাম্পের এজেন্ডার বিরুদ্ধে নারীদের এই ‘মার্চ’ প্রতিবাদ হিসেবে অব্যাহত থাকে।

এদিকে, ট্রাম্প শনিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এসেছেন। তার শপথ গ্রহণ উপলক্ষে ভার্জিনিয়ায় তার গলফ ক্লাবে আতশবাজিসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।

ওয়াশিংটনে পিপলস মার্চে যোগ দিতে যেসব নারী সমবেত হয়েছেন তারা অনেকে বলেছেন, তাদের বিভিন্ন ধরনের লক্ষ্য আছে। ব্রুক নামের একজন প্রতিবাদকারী বলছেন, তিনি গর্ভপাতের সুযোগের বিষয়ে তার সমর্থন জানাতে এসেছেন।

“যেভাবে দেশে ভোট হয়েছে তাতে আমি খুশী নই” বলছিলেন তিনি। ব্রুক আরও বলেন, “আমি অত্যন্ত দু:খিত যে আমাদের দেশ এমন একজনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়েছে যিনি ইতোমধ্যেই একবার ব্যর্থ হয়েছেন এবং আমরা একজন নারী প্রার্থীকে মনোনীত করিনি।”

কায়লা নামে আরেকজন নারী বলছিলেন, ‘কিছু আবেগ তাকে রাজধানীর রাস্তায় নিয়ে এসেছে। সত্যি বলতে আমি পাগল হয়ে গেছি, আমি দু:খিত আবার আমি আনন্দিত, বলছিলেন তিনি।

সুশি এসেছেন সান ফ্রান্সিসকো থেকে। সাথে এসেছেন তার বোন আন্নে, যিনি কাছেই বসবাস করেন। তারা দু’জনেই ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শপথ গ্রহণের পর প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন। সে সময়কার ব্যাপক জনসমাগমের কথা মনে করেছেন তিনি। তিনি আশা করেছিলেন ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে মানুষ এখনও রাস্তায় নামবে।

সুশি বলছিলেন “এবার অংশীদার বেড়েছে। ট্রাম্প আরও সাহসী। তিনি বিলিয়নিয়ার শ্রেণীতে এসেছেন এবং প্রযুক্তি শ্রেণী মাথানত করেছে”।

আন্নে বলছেন, তিনি বোঝেন যে প্রতিবাদকারীরা আমেরিকার অনেক বিষয় থেকে বাইরে আছেন। ট্রাম্প গত নভেম্বরে দোদুল্যমান সবকয়টি রাজ্যে জয় পেয়েছেন। এরপরেও আমরা এখানে আছি এবং আমরা প্রতিরোধ করবো।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

কিউএনবি/অনিমা/১৯ জানুয়ারী ২০২৫,/দুপুর ১:৪৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit