শার্শা(যশোর)সংবাদদাতা : যশোরের শার্শার কন্দবপুর গ্রামে দু-গ্রুপের সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১০ জনকে আসামী করে শার্শা থানায় মামলা হয়েছে। যার মামলা নং ১০, তাং ১৩/০১/২৫। মামলার আসামীরা হলো সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার মুল হোতা ৫ আগষ্টের পর খাগড়াছড়ি থেকে পালিয়ে আসা পুলিশ সদস্য শহিদুল ইসলাম তোতা (৪০), তার সহদর আসাদুল ইসলাম (৫৫),শাহীন(৪০), কবির হোসেন(৩৫), আক্তারুজ্জামান আক্তার (৪৫), স¤্রাট(২২), আবুজার(৩৫), আলমগীরহোসেন আলম (৪৫),মোহাম্মদ আলি (৩৫) ও হাবিবুর রহমান(৩৫)সহ অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরও ২০/২৫জনকে।
মামলার বাদী কামরুল ইসলাম’র অভিযোগ ঘটনার ৩ দিন পার হলেও এখনও পুলিশ কোন আসামীকে আটক করতে পারেনি। যে কারনে কন্দবপুর ও গোড়পাড়া এলাকায় আসামীদের ভয়ে সাধারন মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। শার্শা থানা, মামলার বাদী ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, গত ১৩ জানুয়ারী রবিবার রাতে টিসিবি’র কার্ড বিতরনকে কেন্দ্র করে শার্শার কন্দবপুর গ্রামে দু- গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এর এক পর্যায় এলাকার চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী খাগড়াছড়ি থেকে পালিয়ে আসা পুলিশ সদস্য শহিদুল ইসলাম তোতা, তার সহদর আসাদুল ইসলাম ,শাহীন, কবির হোসেন , আক্তারুজ্জামান আক্তার , স¤্রাট, আবুজারসহ ৩০/৩৫জন দূর্বৃত্ত সংঘবদ্ধ হয়ে বাদী কামরুল ইসলাম সহ তার স্বজনদেও ১২/১৩টি বাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, ধানের গোলা, মুরগীর খামারে অগ্ণিসংযোগ, চায়ের দোকান ভাংচুর, করে। এ সময় কন্দবপুর গ্রামে প্ররয় কান্ড সৃষ্টি হয়।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ এমন খবর শুনে ঐ সময় বেনাপোল থেকে ফায়ার সার্ভিস নিয়ে ঘটনা স্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রন করে। এ সময় পরিস্তিতি স্বাভাবিক করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ দিনই রাতেই ১০জনসহ আরও অজ্ঞাত ৩০/৩৫জনকে আসামী করে শার্শা থানায় একটি মামলা হয়। ঘটনা স্থল এখন স্বাভাবিক রয়েছে। আসামীরা গা ঢাকা দিয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন গত ৫ আগষ্টের পর থেকে কন্দবপুর এলাকার চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী খাগড়াছড়ি থেকে পালিয়ে আসা পুলিশ সদস্য শহিদুল ইসলাম তোতা, তার সহদর আসাদুল ইসলাম ,শাহীন, কবির হোসেন , আক্তারুজ্জামান আক্তার , স¤্রাট, আবুজারসহ তাদের দোসরদের বিরুদ্দে চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী, চুরি, ছিনতাই,গাছ কাটা, সাধারনদেরকে মারপিট করে টাকা আদায় করা, বন মান্দার বিলের ঘের থেকে মাছ লুট সহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় নেতা কর্মিরা অভিযোগ করে বলেন শার্শা থানার দলের মধ্যে একতা ও নিয়ন্ত্রন না থাকায় এক শ্রেনীর অসাধু কর্মিরা দলের নামে বিশ্রঙ্খলা সৃষ্টি করে দলের ভাবমুর্তি নষ্ট করছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম জানান, কন্দবপুর গ্রামের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যহত রয়েছে। তিনি বলেন আসামীরা যেই হোক তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।
কিউএনবি/আয়শা/১৫ জানুয়ারী ২০২৫,/রাত ৮:১২