মোঃ সালাহউদ্দিন আহমেদ, মায়ের হাত ধরে দাড়িয়ে ছিল দ্বিতীয় শ্রেণীর শিশু শিক্ষার্থী উল্টো পথে আসা বেপরোয়া গতির বাইক চাপায় জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে নুসরাত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আমদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থেকে বাড়ি ফেরার সময় স্কুল প্রসঙ্গেনেই মারাত্মক দূর্ঘটনার শিকার হন দ্বিতীয় শ্রেণীর এই শিশু শিক্ষার্থী। গুরুতর আহত শিক্ষার্থী নুসরাতনরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানাধীন আমদিয়া ইউনিয়নের বাগেশ্বর গ্রামের আটো রিকশা চালক জুয়েল মিয়ার মেয়ে।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, আহত শিক্ষার্থী নুসরাতের ক্লাস শেষে ছুটি হলে তার মা নুসরাতকে হাত ধরে স্কুল মাঠের রাস্তা পার হয়ে বাজারের কাইয়ুম স্টোরের সামনে নিরাপদ দূরত্বে এসে দাড়ায় মা ও মেয়ে। ঠিক তখনও মেয়ে নুসরাতের হাত ধরে দাড়িয়ে ছিলেন তার মা। সেসময় কিছু বুজে উঠার আগেই উল্টো দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে এসে মটরসাইকেলটি চাপা দেন নুসরাতকে। তিব্র গতিতে আসা মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নুসরাত তার মায়ের হাত থেকে ছিটকে পড়েন এসময় শিক্ষার্থী নুসরাত তার সারা শরীর ও মাথায় মারাত্মক ভাবে জখম হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
আমদিয়া বাজারের ডাক্তার আক্তার মিয়াসহ নুসরাতের নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান নুসরাতকে এসময় নুসরাতের মুমূর্ষু অবস্থা দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুসরাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। চোখের সামনে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় হতবাক হয়ে পড়েন স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ীরা। মোটরসাইকেল আরোহী আমদিয়া ইউনিয়নের পাকুরিয়া গ্রামের আমীর এর ছেলে তাওহীদ (২০)। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তাওহীদ পড়াশোনা বাদ দিয়ে তার বাবা আমিরের সাথে বাবুরহাট ও গাউছিয়া হাটে চাকরি করেন আর অবসরে এমন বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল নিয়ে দাপিয়ে বেড়ান। আজকের এই দূর্ঘটনার জন্য স্থানীয়রা তার উল্টো পথে বেপরোয়া গতিকেই দোষারোপ করেন।
এমন দূর্ঘটনার পরও পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাওহীদ উপস্থিত বাজারের লোকজন মোটরসাইকেলসহ তাকে আটক করেন এবং তার পায়ে সামান্য আঘাত পাওয়ায় স্থানীয় ফার্মেসী থেকে তাকে চিকিৎসা দিয়ে তার বাড়িতে পৌঁছে দেন এবং দূর্ঘটনার শিকার রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেলটি আমদিয়া বাজারের ব্যবসায়ী রাসেল চৌধুরীর জিম্মায় রাখা হয়।
কিউএনবি/আয়শা/১৪ জানুয়ারী ২০২৫,/রাত ৮:৫৮