বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫৫ অপরাহ্ন

ভূরুঙ্গাারীতে মাদকের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আসামী হলেন সাংবাদিক

মাইদুল ইসলাম মুকুল, ভুরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি ।
  • Update Time : বুধবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১৪৫ Time View

মাইদুল ইসলাম মুকুল, ভুরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে মাদক বিরোধী অভিযানের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে মামলার আসামী হয়েছেন উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ঘোষণা পত্রিকার ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রতিনিধি খালেদ হাসান। গত রোববার ৫ ডিসেম্বর উপজেলার বাবুরহাট এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ। খবর পেয়ে  সাংবাদিক খালেদ সেখানকার তথ্য সংগ্রহ করেতে যান। 

পুলিশ অভিযান চালিয়ে  মাদক কারবারি হাফিজুর ও তার স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় কিছু দূর্বৃত্ব  এলাকাবাসী পুলিশকে অবরুদ্ধ করে মাদক ব্যবসায়ী হাফিজুর ও তার স্ত্রীকে ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে পুলিশ আসামীদের রেখে থানায় ফেরত আসে এবং এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় এলাকাবাসীকে ইন্ধন দেয়ার অভিযোগে সাংবাদিক খালেদ হাসানকে ৬ নং আসামী করা হয়।

সাংবাদিক খালেদ হাসান জানান, মাদক বিরোধী অভিযানের ঘটনা শুনে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং সেখানকার তথ্য সংগ্রহ করতে ভিডিও ধারন করতে থাকি। একপর্যায়ে স্থানীয় মাদক সিন্ডিকেট কয়েকজন সদস্য আমাকে ভিডিও করতে নিষেধ করেন এবং মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। পরে আমি কৌশলে সেখান থেকে চলে আসি। পরবর্তীতে জানতে পারি পুলিশ আমাকে আসামী করে মামলা করেছে। যেখানে ঝুঁকি নিয়ে আমরা তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে আসি, সেখানে উল্টো আমাদের নামেই মামলা দেয়া হয়।  যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। আমি এই ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও মামলা প্রত্যাহারের সহ সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানাই।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি এ এস খোকন বলেন, মাদক বিরোধী অভিযানের ঘটনাটি শুনেছি। আমাদের সাধারণ সম্পাদক খালেদ হাসান সেখানে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তুু তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে নিজেই মামলার আসামি হয়েছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং দ্রুত হয়রানিমূলক মামলা থেকে খালেদ হাসানের নাম প্রত্যাহারের আহ্বান জানাই।

ভুরুঙ্গামারী প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক সম্মিলিত  শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও মাইটিভি প্রতিনিধি মাইদুল ইসলাম মুকুল জানান, একজন সাংবাদিকের নামে এরকম অভিযোগের সঠিক তদন্ত হওয়া জরুরী। আমরা চাই কোন নির্দোষ সাংবাদিক যেন হয়রানীর শিকার না হন। ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ  আল হেলাল মাহমুদ জানান, আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন  কর্তৃপক্ষের তদন্তাধীন রয়েছে। ঘটনার সাথে সাংবাদিকের সংশ্লিষ্টতা না থাকলে তিনি আইনি সহায়তা পাবেন।

কিউএনবি/আয়শা/০৮ জানুয়ারী ২০২৫,/বিকাল ৫:২১

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit