বিনোদন ডেস্ক : আদর্শ জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়া মুখের কথা নয়। নতুন কেউ জীবনে এলে, আর তাকে মনে ধরলে প্রথমেই যে প্রশ্নটি মাথায় ঘোরে, তা হলো— মানুষটির সঙ্গে কি সারাজীবন একসঙ্গে কাটানো যাবে? উত্তর না পেলে সম্পর্কের বিভিন্ন পর্বে সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতেই সময় কেটে যায়। হয়তো বছর পাঁচেক একসঙ্গে থাকার পর বুঝলেন— তিনি সেই মানুষটি নয়। কিন্তু উত্তর পেতে জীবনের পাঁচ বসন্ত নষ্ট করাও কাজের কথা নয়। তবু প্রশ্ন থাকে, থেকে যায় সন্দিহান মনও। অভিনেত্রী রিচা চাড্ডা অবশ্য একটি সহজ উপায় বাতলে দিয়েছেন জীবনের আদর্শ মানুষটিকে চেনার।
সম্পর্কের বিচার কীভাবে করবেন, তার একটি সহজ পন্থাও বলে দিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, আপনি যখন কোনো সম্পর্কে প্রবেশ করেন, আর সেটি যদি আপনার জন্য উপযুক্ত না হয়, তা হলে আপনি কখনই ভালো থাকবেন না। দেখবেন— এই ভালো আছেন তো পরক্ষণেই খারাপ। কাজে মন দিতে পারবেন না। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত লাগবে। মুখে-চোখে— এমনকি শরীরেও তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। রিচা চাড্ডা বলেন, জীবনটা ‘নরক’ বলেও মনে হতে পারে কখনো-কখনো। কিন্তু ভালো সম্পর্কে সেটি কখনই হবে না। তিনি বলেন, সম্পর্ক ভালো হলে বা সঙ্গী উপযুক্ত হলে দেখবেন জীবনটা অনেক সুন্দর হয়ে গেছে। ভালো কাজ করতে পারছেন। আনন্দ ঘিরে থাকবে আপনাকে।
মনোবিদরাও রিচার কথাকে কিছুটা সমর্থনই করেছেন। ভারতের মনস্তত্ত্ববিদ জুহি পান্ডে বলেছেন, সুস্থ সম্পর্কে সঙ্গীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠা জরুরি। একে অপরের সঙ্গে সময় কাটালে, দুঃসময়ে পাশে থাকলে, সামাজিকভাবে ও কাজের ক্ষেত্রেও পরস্পরকে প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগালে এবং একে অপরকে ভালো রাখার চেষ্টা করলে ও চেষ্টার কদর করলে ওই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।
তবে সম্পর্কে ক্ষমা করে দেওয়ার মনোভাব থাকাটাও জরুরি বলে মনে করেন জুহি পান্ডে। তিনি বলেন, বন্ধুরা যেমন একে অপরের দোষ ভুলে ক্ষমা করে দেন, সম্পর্কেও সেই মনোভাব থাকতে হবে। একে অপরের বিরুদ্ধে যদি প্রতিশোধস্পৃহা তৈরি হতে থাকে, তবে তা সম্পর্কের জন্য কখনই সুলক্ষণ নয়।
কিউএনবি/আয়শা/০৬ জানুয়ারী ২০২৫,/বিকাল ৪:১৯