১. সহজ হজম: ভেজানোর ফলে বাদামের বাইরের কঠিন ত্বক নরম হয়, যা হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। এতে থাকা এনজাইম ইনহিবিটর ভেঙে যায়, ফলে শরীর পুষ্টি ভালোভাবে শোষণ করতে পারে।
২. মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করে: কাঠ বাদামে থাকা ভিটামিন ই এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। এটি স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সহায়ক এবং আলঝেইমার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: কাঠ বাদামে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও ফাইবার থাকে, যা দীর্ঘ সময় ক্ষুধা দূর রাখতে সাহায্য করে। এটি অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
৪. হৃদরোগ প্রতিরোধ করে: ভেজানো কাঠ বাদামে মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
৫. ত্বকের জন্য উপকারী: কাঠ বাদামে থাকা ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষের ক্ষতি কমায় এবং ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
৬. শক্তি প্রদান করে: কাঠ বাদামে থাকা ক্যালোরি ও ম্যাগনেসিয়াম শরীরে শক্তি বাড়ায় এবং ক্লান্তি কমায়।
৭. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: ভেজানো কাঠ বাদাম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়।
কিভাবে ভেজানো কাঠ বাদাম খাবেন?
১. রাতে ৬-৮টি কাঠ বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
২. সকালে খোসা ছাড়িয়ে খেয়ে নিন।
৩. সঠিক পরিমাণে খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে।
নিয়মিত ভেজানো কাঠ বাদাম খাওয়ার অভ্যাস শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।