সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:০০ পূর্বাহ্ন

সবার স্বাধীনতা রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৫৪ Time View

ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশে ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধীদেরসহ সকলের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার সমুন্নত রাখার পাশাপাশি সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এই আহ্বান জানিয়েছেন।

ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বেদান্ত প্যাটেলকে প্রশ্ন করেন, গত ১০ নভেম্বর ঢাকায় আওয়ামী লীগের কর্মীদের রাজনৈতিক সমাবেশে বাধা দেওয়ার সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে দেখছে? ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কী বার্তা আছে? আর তার সমর্থকরা এর আগে বাক ও সমাবেশের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলেছেন।

এই প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমরা ভিন্নমতের ও বিরোধীদের-সহ সকলের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারে সমর্থন করি। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে এসব স্বাধীনতা যেকোনও গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য উপাদান।

তিনি বলেন, আমরা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার-সহ আমাদের সকল অংশীদারদের এই সমর্থনের কথা জানাই। এবং দেশের সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে সকল বাংলাদেশির জন্য এসব স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা এবং রক্ষা করা জরুরি।

এছাড়া ব্রিফিংয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশে ১৮৪ সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয়েও বেদান্ত প্যাটেলের কাছে প্রশ্ন করা হয়। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করে বলেন, সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) ব্যুরো প্রধান-সহ বাংলাদেশের ১৮৪ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের নিরাপত্তার অধিকারকে সমর্থন এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর বিধি-নিষেধ মোকাবিলা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোন পদক্ষেপ বিবেচনা করছে? কেবল একটি তথ্য জানাচ্ছি যে, সম্প্রতি সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) ইতিমধ্যে ড. ইউনূসকে একটি চিঠি দিয়েছে। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বলেন, আমি এই প্রতিবেদনটি দেখিনি। যদি সত্য হয়, তাহলে অবশ্যই এটি দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের শক্তিশালী দৃষ্টিভঙ্গি হলো, বাংলাদেশের পরিস্থিতি-সহ যেকোনও পরিস্থিতি তুলে ধরার জন্য মুক্ত গণমাধ্যম অত্যাবশ্যক।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ। আমরা উৎসাহিত করার পাশাপাশি নিশ্চিত করতে চাই যে, সাংবাদিকদের অধিকার ও স্বাধীনতাকে যথাযথভাবে সম্মান করা হচ্ছে।

কিউএনবি/অনিমা/১৩ নভেম্বর ২০২৪,/রাত ৯:০৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit