বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন

যে সুরা পাঠে আল্লাহর রহমত মেলে

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৪৯ Time View

ডেস্ক নিউজ : পবিত্র কোরআনের প্রতিটি অক্ষর থেকে শুরু করে প্রতিটি আয়াত ও সুরা বিশেষ ফজিলত বহন। প্রতিটি অংশই মহান আল্লাহর ঐশী কালাম। তবে কোনো কোনো সুরা বা আয়াতকে মহান আল্লাহ বিশেষ ফজিলত দান করেছেন। যেগুলো তিলাওয়াতের মাধ্যমে বান্দা অধিক সওয়াব ও ফজিলত অর্জন করতে পারে।

বিপদ থেকে নিরাপত্তা ও রোগব্যাধি থেকে আরোগ্য লাভ করতে পারে। যেগুলোর মাধ্যমে বান্দা মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে পারে। 

পবিত্র কোরআনের অন্যতম একটি ফজিলতপূর্ণ সুরা হলো ‘ইখলাস’। পবিত্র কোরআনের ১১২তম এই সুরাকে মহান আল্লাহ বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন।

এই সুরা মানুষকে শিরক থেকে মুক্ত হয়ে একমাত্র মহান আল্লাহর একত্ববাদের শিক্ষা দেয়। হাদিস শরিফে এই সুরা ও এর ওপর আমলকারীদের বিশেষ ফজিলতের কথা পাওয়া যায়। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো, এই সুরা তিলাওয়াতের মাধ্যমে পুরো কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াতের সওয়াব পাওয়া যায়।
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি জনৈক সাহাবিকে দেখলেন, বারবার ‘কুল হুআল্লাহু আহাদ’ সুরাটি পড়ছেন।

সকাল হলে ওই ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর সামনে বিষয়টি পেশ করলেন। লোকটি হয়তো ভেবেছে, এ ছোট একটি সুরা বারংবার পড়তে থাকা তেমন সওয়াবের কাজ নয়—তখন রাসুল (সা.) বলেন, ওই সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ! সুরা ইখলাস কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান।
(বুখারি, হাদিস : ৫০১৩)

এ জন্য নবীজি (সা.) সাহাবায়ে কিরামকে এই সুরা পড়ার প্রতি বিশেষভাবে তাগিদ দিতেন, বিশেষ করে রাতের ইবাদতে যেন এই সুরাটি থাকে, সে ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতেন। আবুদ দারদা (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি একদিন বললেন, তোমাদের প্রত্যেকেই কি প্রতি রাতে কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করতে পারে না? সাহাবিরা বললেন, আমরা দুর্বল, প্রতি রাতে এত বেশি পরিমাণ তিলাওয়াত করা আমাদের সাধ্যের বাইরে। রাসুল (সা.) বলেন, আল্লাহ তাআলা পুরো কোরআনকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন এবং সুরা ইখলাসকে তিন ভাগের এক ভাগ গণ্য করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৭৪৯৮)

সুবহানাল্লাহ, বেশি বেশি সুরা ইখলাস তিলাওয়াত যে কতটা ফজিলতপূর্ণ, তা এক সাহাবির ইন্তেকালের ঘটনা থেকে আরো স্পষ্ট হয়ে যায়। নিয়মিত সুরা ইখলাস তিলাওয়াতকারী এক সাহাবি ইন্তেকাল করলে মহান আল্লাহ জিবরাইল (আ.)-এর নেতৃত্বে ৭০ হাজার ফেরেশতাকে তাঁর জানাজায় শরিক হতে পাঠান।

পবিত্র হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, মুয়াবিয়া ইবনে মুয়াবিয়া আলমুযানি আললাইছি  (রা.) ইন্তেকাল করলে ৭০ হাজার ফেরেশতাসহ জিবরাইল (আ.) নবীজির কাছে আগমন করেন। বিশ্বনবী (সা.) জিবরাইল (আ.) এবং এসব ফেরেশতাদের নিয়ে তার জানাজায় শরিক হন। নামাজ শেষ হলে নবীজি (সা.) জিবরাইল (আ.)-কে জিজ্ঞেস করেন, হে জিবরাইল! কোন আমলের মাধ্যমে মুয়াবিয়া ইবনে মুয়াবিয়া মুযানি এই উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছে? জবাবে জিবরাইল (আ.) বলেন, এই মর্যাদা লাভের কারণ হলো, সে দাঁড়িয়ে, বসে, হেঁটে হেঁটে, সওয়ারিতে (বাহনে চড়া অবস্থায়) তথা সর্বাবস্থায় সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করত। (মুজামে কাবির : ৮/১১৬, হাদিস ৭৫৩৭; মুজামে আওসাত, তবারানি )

আরেক বর্ণনায় এসেছে, নবীজি জিজ্ঞেস করেছেন, হে জিবরাইল! কোন আমল দ্বারা মুয়াবিয়া ইবনে মুয়াবিয়া আল্লাহর নিকট এই মর্যাদা লাভ করেছে? জিবরাইল (আ.) উত্তর দিয়েছেন, এর কারণ হলো, সে সুরা ইখলাসকে মহব্বত করত এবং চলতে-ফিরতে, উঠতে-বসতে সর্বাবস্থায় এই সুরা তিলাওয়াত করত। (মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদিস : ৪২৬৮)

কিউএনবি/অনিমা/১১ অক্টোবর ২০২৪,/রাত ৯:৫১

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit