ডেস্ক নিউজ : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা অনেক। সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে দেশের জন্য আমাদের কিছু করে দেখাতে হবে। আমরা ব্যর্থ হলে জনগণ হতাশ হবে।
এ সময় রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপাই বলেন, বাংলাদেশের একজন সহযোগী অংশীদার হতে পেরে আমরা গর্বিত। চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা থাকবে, সরকারের কাছে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশনসহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অবকাঠামো নির্মাণকল্পে আমরা কাজ করতে চাই। আমরা চাই, স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত জনসচেতনতা গড়ে উঠুক।
এ প্রসঙ্গে হাসান আরিফ বলেন, ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশ প্রায়ই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সম্মুখীন হয়। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, সমূদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি, লবনাক্ততা বৃদ্ধি প্রভৃতির প্রভাব বাংলাদেশে পড়ছে। সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবর্ণনীয় ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে জ্ঞানলব্ধ হলে সাধারণ মানুষও এ ব্যাপারে সচেতন হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সব স্তরের জনপ্রতিনিধিদের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়াও উক্ত সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলি আখতার হোসেন, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুর রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ, এফডির উপ-পরিচালক সেসিলা কর্টেসিসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কিউএনবি/আয়শা/০১ অক্টোবর ২০২৪,/রাত ১১:৫০