শান্তা ইসলাম নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের সরকার থেকে ইজারাকৃত দুইটি বিল দখলের নেওয়ার চেষ্টা করছে স্থানীয় বিএনপি দলীয় কিছু নেতাকর্মী। বিলের দখল না ছাড়লে ইজারাদার সমিতির সভাপতি ও সদস্যদেরকে খুন- জখমের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।
এ নিয়ে এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোনালী মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি মোখলেছ মিয়া এ ব্যাপারে গতকাল বুধবার আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে সোমবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নেত্রকোনা সেনা ক্যাম্পেও অভিযোগ দেওয়া হয়।
অভিযোগে জানা গেছে, নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে গাইনা বিল ও কুমারিয়া বিলে মাছ আহরণের জন্য ১৪৩১ বাংলা সনে তিন বছরের জন্য ইজারা গ্রহণ করে স্থানীয় সোনালী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ। ইজারা নেওয়ার পর ওই সমিতির লোকজন বিলে মাছ আহরণ করছিল। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মির্জাপুর গ্রামের জহিরুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, রুহুল আমিনসহ স্থানীয় বিএনপি দলীয় ৪০- ৪৫জন বিল দুইটি দখলে নেওয়ার জন্য চেষ্টা চালায়। তারা উপজেলা প্রশাসনের ওপরও ইজারা বাতিল করে তাদের দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
কিন্তু উপজেলা প্রশাসন এতে রাজি হয়নি। পরে দখলচেষ্টাকারীরা ইজারাদার সমিতির লোকজনকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করে। বিষয়টি উপজেলা সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তাকে জানাতে সোমবার অফিসের সামনে যায় সমিতির লোকজন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসের সামনে সমিতির লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে দখলচেষ্টাকারীরা। এক পর্যায়ে মারপিট করার হুমকি দেয়। স্থানীয় লোকজন তাদের ফিরিয়ে দিলে সমিতির লোকজনকে খুন জখমের হুমকি প্রদর্শণ করে তারা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আটপাড়ার লুনেশ্বর ইউনিয়ন জাসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন. আওয়ামী লীগের লোকজন ১৭ বছর বিল দুইটি ভোগ দখল করেছে। আমরা নিজের জন্য নয় বিলের আয় গ্রামের মসজিদে দেওয়ার জন্য চাইতেছি। ২০০১ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তাদেরকে বলে গ্রামবাসী গ্রামের মসজিদের জন্য বিল দুইটি ডেকে নিয়েছিল। আটপাড়ার মির্জাপুর গ্রামের বিএনপি কর্মী রতন মিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন ১৭ বছর ধরে লুটেপুটে খেয়েছে। বিল দুইটি তারা ইজারা নিয়ে তাদের ইচ্ছেমত ভোগ করেছে।
এখনত আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় নেই তাই গ্রামের লোকজন বিল দুইটি নিতে ছাইছে। আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এম. সাজ্জাদুল হাসান, স্থানীয় একটি মৎস্যজীবি সমিতি তিন বছরের জন্য দুইটি বিল ইজারা নিয়ে মাছ আহরণ করছিল। স্থানীয় কিছুলোক ওই ইজারা বাতিল করে তাদের দেওয়ার জন্য বলছে। এ নিয়ে এলাকায় কিছুটা উত্তেজনা আছে। বিষয়টি পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে জানানো হয়েছে।
কিউএনবি/আয়শা/২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:১২