শান্তা ইসলাম নেত্রকোনা প্রতিনিধি : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তিনি হচ্ছেন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ঝাঞ্জাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুল কাদের। এ ব্যাপারে ওই শিক্ষিকা গত শনিবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান অভিযোগকারী ওই শিক্ষিকা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক, ময়মনসিংহ প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালক, দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগের অনুলিপি দিয়েছেন। তবে প্রধান শিক্ষক বজলুল কাদের সহকারি শিক্ষিকাকে হয়রানি ও নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেন। অভিযোগে জানা গেছে, নেত্রকোনার দুর্গাপুরের ঝাঞ্জাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুল কাদের দীর্ঘদিন ধরে একই বিদ্যালয়ের জনৈক সহকারি শিক্ষিকাকে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।
প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষিকাকে নানাভাবে মানষিক নির্যাতন করছিলেন। এমনকি বিদ্যালয়ে একা পেয়ে প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষিকাকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকদের একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। সম্প্রতি ওই শিক্ষিকাকে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে একা পেয়ে গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন প্রধান শিক্ষক। তাঁর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষিকার ওপর বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ ওঠাতে শুরু করেন। শারীরিক অসুস্থ্যতার জন্য চিকিৎসকের পারামর্শ অনুযায়ী ওই শিক্ষিকা ুঠফশ যণপা গত ২৯ এপ্রিল অসুস্থ্য হলে চিকিৎসা ছুটিতে যান।
পরে ২ জুন বিদ্যালয়ে যোগদান করলেও প্রধান শিক্ষক ছুটির আবেদনে সুপারিশ করেন নি। উল্টো ছুটি না মঞ্জুর করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তদবির করেন। ভূক্তভোগী সহকারি শিক্ষিকা নিজের সম্মান রক্ষার্থে মপ যতভৎভপা ৎুপডভঁনউড যতযহমকভ ড়ুরপইা ঁনত গত শনিবার নেত্রকোনা জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, দুর্গাপুরের ঝাঞ্জাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৩জন শিক্ষক রয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন পুরুষ এবং ১১জন মহিলা শিক্ষক। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ শতাধিক। অভিযোগকারী সহকারি শিক্ষিকা প্রায় ১৪ বছর ধরে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। প্রধান শিক্ষক বজলুল কাদেরও একই সময় ধরে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। তিনি বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ছিলেন। পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক হয়েছেন।
দুর্গাপুরের ঝাঞ্জাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুল কাদের বলেন, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে। আমি কাউকে হয়রানি বা নির্যাতন করিনি। নেত্রকোনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন জানান, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কিউএনবি/আয়শা/১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/বিকাল ৫:১৮