খোরশেদ আলম বাবুল,শরীয়তপুর প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন ‘সাবধান বাংলাদেশ, আমাদের মনে রাখতে হবে আবু সাঈদ-মুগ্ধদের যুদ্ধ শেষ হয়নি। আবারও যুদ্ধ হবে, সেই যুদ্ধ হবে ভোটের যুদ্ধ।’ সেই যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে মুক্ত করতে হবে। এখন আমাদের দয়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। সকলকে মিলে-মিশে দেশকে স্বৈরাচার, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজ মুক্ত করতে হবে। মনে রাখতে হবে, তরুণদের ঐক্যের ভিত্তিতে আমাদের যে অর্জন তা নস্যাতে শত্রুদের ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আমাদের জাতীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। তা না হলে আমাদের তরুণদের অর্জন বিফল হতে পারে।
তিনি আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় শরীয়তপুর পৌর অডিটোরিয়ামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে জামায়াতে ইসলামী শরীয়তপুর জেলা শাখার উদ্যোগে মতবিনিময় ও শহীদ পরিবারদের সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।হামিদুর রহমান আরো বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে দেশব্যাপী শহীদ ও আহত পরিবারের পাশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবসময় আছে। তিনি বর্তমান সরকারের কাছে শহীদ পরিবারের ক্ষতিপূরণসহ আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের আহবান জানান।
এছাড়াও তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গণআন্দোলনর মুখে সৈরাচারকে পদত্যাগসহ দেশ ত্যাগে বাধ্য করেছেন। ছাত্র জনতার এ বিজয়কে সফল করতে আমাদের সামনে এখন অনেক দায়িত্ব। ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, সন্ত্রাস চাদাবাজি বন্ধ করতে হবে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ স্বচ্ছ রাজনৈতিক ধারা ফিরিয়ে আনতে হবে। তাহলেই ছাত্র জনতার আত্মত্যাগ দেশের মানুষকে ফ্যাসিষ্টদের প্রেতাত্মা থেকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শরীয়তপুর জেলা শাখার আমীর মাওলানা আবদুর রব হাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি সরদার একেএম নাসির উদ্দিন কালু, জামায়াতে ইসলামী শরীয়তপুর জেলার সাবেক আমীর ও ফরিদপুর অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা খলিলুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ফরিদ অঞ্চল পরিচালক ও সাবেক ছাত্রনেতা মো. আজহারুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামী শরীয়তপুর জেলা নায়েবে আমীর কেএম মকবুল হোসাইন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুর জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা মাসুদুর রহমান ও জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি শাখাওয়াত কাউসার। শহীদ পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, শহীদ মামুনের পিতা আ. গনি ও শহীদ নুরে আলমের ছেলে মো. ইমন।অনুষ্ঠানে জেলার শহীদ সাত পরিবারকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র পক্ষ থেকে দুই লক্ষ করে নগদ টাকা সহযোগিতা করা হয়।
কিউএনবি/অনিমা/০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:১১