মনিরুল ইসলাম মনি, শার্শা সংবাদদাতা : যশোরের বেনাপোল স্থল বন্দরে পাসপোর্টধারীদের সাথে প্রতারনায় অভিযুক্ত ৮ টি সাইনবোর্ড বিহীন অবৈধ দোকানে তালা ঝুলিয়েছেপোর্ট থানা পুলিশ। এছাড়া আরো ৪টি দোকান মালিককে সতর্ক বার্তা জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বেনাপোল বন্দরের চেকপোষ্টে অবস্থিত এসব দোকানে তালা ঝুলানো হয়। এসময় সেখানে বাজার কমিটি,রাজনৈতিক নেতা ও সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।অভিযুক্ত মার্কেট গুলো হলো চৌধুরী সুপার মার্কেট, রেজাউল সুপারমার্কেট, ইউনুস সুপারমার্কেট । বেনাপোল চেকপোষ্টে রবিনামে এক ব্যাক্তি দীর্ঘদিনের ছিনতাইকারী গ্রুপেরনেতৃত্ব দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সে এই ছিনতাইয়ের সাথে উঠতি বয়সের ছেলেদের সম্পৃক্ত করে এলাকার পরিবেশ দুষন করছে।অনেক আগে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিম যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারনা ও ভ্রমন ট্রাক্স জালিয়াতির ঘটনায় চেকপোষ্ট এলাকায় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ১০টি ভুয়া প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে মামলা দিয়েছিল। সে সময় বন্দরের সাদিপুর সড়কে বেনাপোল ট্রাভেল পয়েন্টের শামিম এবং চৌধুরী ও মসজিদ মার্কেটের সাইবোর্ড বিহীন ৯ টা দোকান তালা মারে পুলিশ । তবে তারা আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে আবারও প্রতারনায় জড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, চিকিৎসা ব্যবসাসহ বিভিন্ন কাজে বেনাপোল বন্দর হয়ে সবচেয়ে বেশি পাসপোর্টধারী যাতায়াত করে ভারতে। এসব যাত্রীরা যখন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিবহনে যোগে বন্দরে নামে, তখন এক শ্রেনীর ছিনতাইকারী বিভিন্ন পরিচয়ে পাসপোর্টের ফরম বা ভ্রমন ট্রাক্স কেটে দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় বিভিন্ন মার্কেটে সাইন বোর্ড বিহীন ঘরে বসায়। পরে বিভিন্ন প্রতারনার মাধ্যমে কখনো ভয় ভিতী দেখিয়ে সাথে থাকা অর্থ ছিনিয়ে নেয়। সবশেষে গত সোমবার বন্দরের প্যাছেঞ্জার টার্মিনাল থেকে ৮ পাসপোর্টধারীর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় প্রতারকরা। অবশেষে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত ৮ টি অবৈধ দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়।বেনাপোল চেকপোষ্টের ট্রাভেল ব্যবসায়ী রুবেল হোসেন জানান, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর ব্যবহার করে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ৮ হাজার যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। যাদের মধ্যে প্রায় শতাধিক পাসপোর্টধারী ছিনতাই ও প্রতারনার শিকার হচ্ছে।
ভুক্তভোগী পাসপোর্ট যাত্রী ঢাকা সাভারের মুন্না জানান,তিনি ও তার বাবা ভারতে যাওয়ার জন্য চেকপোস্টে নামলে ফরম লেখার নাম করে তাকে একটি কম্পিউটারের ঘরে বসায়। পরে সেখান থেকে পাশের আর ঘরে নিয়ে তার কাছ থেকে দুই হাজার ও তার বাবার কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) সুমন ভক্ত জানান, প্রতিদিন নানান কৌশলে পাসপোর্টধারীদের জিম্মী করে ছিনতাই করে আসছিল প্রতারক চক্ররা। এধরনের প্রতারকদের ৮ টি অবৈধ প্রতিষ্ঠানে তালা মারা হয়েছে। এছাড়া অন্যদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে ১০ টি প্রতিষ্ঠানে তালা মারা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
কিউএনবি/অনিমা/০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/রাত ১০:২৬