নিহতরা হলো-কুষ্টিয়া জেলার ফুয়াদুল ইসলাম (৫৪) ও তার দুই বছরের ছেলে আশিক। তিনি আমিন বাজারের বরদেশী গ্রামের রূপালী সৈকত হাউজিং কোম্পানির ভিতরে একটি জায়গা ভাড়া নিয়ে রাখালের মাধ্যমে ৪ টি গরু ও তিনটি বাছুর পালন করতেন। সেই রাখালের নাম জয়। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, ফুয়াদুল ইসলাম বেশ কয়েক মাস ধরে ওই এলাকায় ৪টি গাভী ও তিনটি বাছুর পালন করে আসছিলেন। তার প্রথম স্ত্রী গ্রামে থাকেন। এখানে দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন তিনি। সেই স্ত্রীর একটি পুত্র সন্তান হলে ৩/৪ মাসের মাথায় স্ত্রী চলে যায়। তখন থেকে দুই বছর ধরে সন্তান আশিককে দেখাশোনা করতেন। পাশাপাশি গরুর খামার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু খামারের রাখাল তাদের হত্যা করে গরু আত্মসাৎ করতে চেয়েছিলেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল ওই রাখাল ফুয়াদুল ইসলামের খামারের গরু বিক্রি করতে আসেন। কিন্তু এলাকাবাসী মালিক না থাকায় গরুগুলো বিক্রি করতে দেননি। স্থানীয়রা মালিকের উপস্থিতিতে গরু বিক্রি করতে বললে তিনি চলে যান। আজ (সোমবার) খামারের ভেতর থেকে দুর্গন্ধ ভেসে আসলে স্থানীয়রা খামারের ভেতরে গিয়ে দুই জনের লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ।
এবিষয়ে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ খামারের ভিতরে বালুচাপা দেওয়া ছিল। কিন্তু শিয়াল বালু খুড়ে মরদেহ বের করলে দুর্গন্ধ বের হয়। নিহত শিশুর মরদেহ শিয়াল টেনেহিঁচড়ে খন্ড খন্ড করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ৫/৬ আগে তাদের হত্যা করে বালুচাপা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে জয় নামের সেই রাখাল পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাকে আটকের চেষ্টা করছেন।