মনিরুল ইসলাম মনি, শার্শা সংবাদদাতা : যশোরের নাভারন নাভারন বাজারে ইয়ামা শোরুম এর মালিক মাসুদ রানার বিরুদ্ধে নারী শিশু পাচার সহ নানা ধরনের মোটর সাইকেল ও চোরাচালানী ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। মাসুদ রানার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট ভিসা বাদে বিষ্ণুপদ দাস (৭০) ও তার স্ত্রী সাবিত্রীকে চোরাইপথে ভারত পাঠানোর নাম করে ৩৮ হাজার টাকা নিয়ে তাদের বেনাপোল থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগির ছেলে বাচ্চু দাস।২৫ আগষ্ট রবিবার বাচ্চু দাস অভিযোগ করে বলেন, গত ২ মে শার্শার নাভারন বাজারের মোটরসাইকেল ব্যবসয়ি মাসুদ রানা তার পিতা মাতাকে ভারত পাঠানোর জন্য ৩৮ হাজার টাকা নেয়। তাদের পাসপোর্টে সমস্যা থাকায় চোরাইপথে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগেও মাসুদ আমাদের অনেক আতœীয় স্বজনকে ভারত পাঠিয়েছে। এবার সে টাকা নিয়ে বিগত ৪ মাস অতিবাহিত হলেও সে তাদের টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা করছে।
এ ব্যাপারে নাভারন এর জনৈক এক ব্যবসায়ি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মাসুদ এর বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানায়। সে আওয়ামীলীগ করায় এবং সরকারী ক্ষমতার জোরে দীর্ঘদিন ধরে চোরাচালানি ব্যবসা করে আসছে। সে নামে মাত্র ইয়ামার শোরুম দিয়ে মোটরসাইকেল ব্যবসার সাইনবোর্ড ব্যবহার করে। সে এই শোরুম ব্যবহার করে এর অন্তরালে নারী শিশু পাচার করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। এছাড়া সে ভারত থেকে অবৈধ্য পথে সীমান্ত পেরিে চোরাই মোটরসাইকেল এনে ইঞ্জীন চ্যাসিস পাংচ করে নাম্বার বসিয়ে বিক্রি করে থাকে। সে কলারোয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় মদ ফেনসিডিল সহ নানা ধরনের পণ্য চোরাইপথে বাংলাদেশে এনে ওই শোরুম ব্যবহার করে ব্যবসা করে থাকে।
এ ব্যাপারে মাসুদ রানার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বাচ্চুর পিতা মাতাকে চোরাইপথে ভারত পাঠানোর জন্য টাকা নেওয়া হয়েছিল ৩৮ হাজার। সীমান্ত কড়াকড়ি থাকায় তাদেও পাঠানো সম্ভব হয়নি। সে এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা পেয়ে যাবে। তবে সে নিজে টাকা গ্রহন করে নাই। ওই টাকা অন্য একজন নিয়েছিল বলে জানান।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা থানার অফিসার ইন চার্জ(ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে যদিকেউ অভিযোগ করে তাহলে অভিযোগ তদন্ত করে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থানেওয়া হবে।
কিউএনবি/অনিমা/২৫ অগাস্ট ২০২৪,/সন্ধ্যা ৬:৪৩