ডেস্ক নিউজ : সোমবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডির সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত ‘ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। সিপিডির তথ্য অনুযায়ী, আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ১২ শতাংশ বা জিডিপির দুই শতাংশের সমান।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিকভাবে লাইসেন্স পাওয়া তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মের কিছু ব্যাংক মৃতপ্রায় হয়ে রয়েছে। এদের চলনশক্তি নেই। এদের জনগণের করের টাকা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। এতে শুধু অর্থের অপচয় হচ্ছে।’
এছাড়া কিছু ব্যাংকের পারফরম্যান্সও ভালো না উল্লেখ করে এগুলোর পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পরিবর্তন করে পরিচালনার সুপারিশ করে সিপিডি। ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, ‘বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে হবে এবং সময়মতো তথ্যের সততা ও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।’
পাশাপাশি সিপিডি ব্যাংক খাতের স্বচ্ছতা আনতে একটি সুনির্দিষ্ট, সময় উপযোগী, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্বাধীন ব্যাংকিং কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে। তবে এই সংস্কার অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে হতে হবে, কারণ স্বার্থান্বেষী মহল এতে বাধা তৈরি করবে।
চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপের হাতেই সাতটি ব্যাংক চলে গেছে উল্লেখ করে সিপিডি জানায়, এস আলম গ্রুপ একাই ইসলামী ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। এছাড়া একক গ্রাহকের জন্য ঋণসীমা নীতি লঙ্ঘন করে জনতা ব্যাংক এননট্যাক্স গ্রুপকে দিয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা।
আর্থিক খাতের দূরাবস্থার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সমালোচনা করে ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘যথেষ্ট স্বাধীনতা থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক বরং বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থের কথা চিন্তা করে নীতিমালা করেছে। দুবছর ধরে দেশের মানুষ উচ্চ মূল্যস্ফীতির কবলে। দরকার ছিল সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নেয়া। কিন্তু বিশেষ ব্যবসায়িক গোষ্ঠী যাতে সুবিধা হয়, সে জন্য সুদহার বাড়ায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।’
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংস্থার সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান এবং গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।
কিউএনবি/আয়শা/১২ অগাস্ট ২০২৪,/রাত ১০:৪৪