জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে পুলিশ সুপার এর উদ্যোগে প্রথম বারের মতো নারী পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত. হয়েছে।শনিবার ( ৮ জুন) খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের আয়োজনে খাগড়াছড়ি টাউন হলে ঢাকা থেকে আগত বিশেষজ্ঞদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রায় ৩৫০ জন নারী পুলিশ সদস্যদের নিয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগ, ও , ওয়াপসা- বাংলাদেশ শাখার নির্বাহী সদস্য প্রফেসর ডঃ মো: ইলিয়াস হোসেন,।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিপিআইসিসি সেক্রেটারি দেবাশীষ নাগ, । নারী পুলিশ সদস্যদের ফিটনেস স্ট্যামিনা ও ডায়েট প্লান বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাজেদা ফাউন্ডেশন পুষ্টিবিদ ও ডায়েট কনসালটেন্ট, ইশরাত জাহান, আলোচক হিসেবে ছিলেন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল এর ডা: বিউটি চাকমা, খাগড়িছড়ি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ত্রুাইম এন্ড অপস মো.জসীম উদ্দিন পিপিএম
সহ জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ , জেলার বিভিন্ন পদমর্যাদার নারী অতিথিবৃন্দ সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন, আমরা সবাই জানি স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আপনি নিজে সুস্থ থাকলে আপনার সন্তান ও পরিবার সুখে থাকবে। স্বাস্থ্য সচেতনতার একটি অংশ হলো পারসোনাল হাইজিন। পারর্সোনাল হাইজিন বিষয়টা শুনতে খুব সাধারণ মনে হয় কিন্তু এর গুরুত্ব অপরিসীম। নারী পুলিশ সদস্যদের গাইনী বিষয়ে, স্কিন, মেডিসিন ও ডেন্টাল এগুলোর গুরুত্ব মোটেও কম নয়। এসব বিষয়ে আমাদের অনেক বেশি সচেতন হতে হবে এবং পরিবার ও আত্নীয়-স্বজনদের সচেতন করতে হবে। আমদের নারী পুলিশ সদস্যদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে ডিউটি করতে হয়। যেখানে সর্বোচ্চ সংখ্যক নারী পুলিশ সদস্যদের ডিউটি করতে হয় সেখানে মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা করতে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করছি।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘আধুনিক কর্মব্যস্ত সময়ে মস্তিস্ককে সুস্থ এবং কর্মক্ষম রাখতে নারী পুলিশ সদস্যদের ডেইলি ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ জরুরি। যা আপনাকে আরও বেশি কর্মক্ষম এবং স্বতঃস্ম্ফূর্ত রাখতে সহায়তা করবে। স্বাস্থ্য বলতে আমরা শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যকেই বুঝি। কিন্তু মানুষের মন শরীরের সঙ্গেই সম্পৃক্ত। তাই শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব সমান। আমরা প্রত্যেকে নিয়মিত ব্যায়াম করা, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়মিত চেকআপ করা।মানসিকভাবে সুস্থ থাকলে তবে পরিবার ও কর্মস্থলে অর্থাৎ ঘরে-বাইরে নিজেকে ঠিক রাখতে পারব।
কিউএনবি/অনিমা/০৯ জুন ২০২৪,/সকাল ১০:০৫