শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০৩:৪০ অপরাহ্ন

তরমুজ এবং খরমুজ খেয়ে হচ্ছে ফুড পয়জনিং

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪
  • ৮২ Time View

লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : তপ্ত গরমে প্রশান্তি দিতে পারে রসালো তরমুজ। গরমের সময়ে জন্মানো এই ফল যেমন সুস্বাদু তেমনই পানিসমৃদ্ধ। তবে এই ফল আসলে কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। ইদানিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ভিডিও ছড়াচ্ছে, যেখানে বলা হচ্ছে তরমুজ এবং খরমুজ জাতীয় ফল খেয়ে বিষক্রিয়া হচ্ছে। অনেকেরই নাকি এই ধরনের ফল খাওয়ার পর ফুড পয়জনিংয়ের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

এই ব্যাপারে কথা বলেছেন ভারতীয় চিকিৎসক কোমল কুলকার্নি। তিনি বলেছেন, অবশ্যই সব জায়গার ফলে এরকম বিষক্রিয়া হওয়ার লক্ষণ নেই। তবে কিছু স্থানে আসলেও সমস্যাযুক্ত ফল মিলছে। এই ফলগুলোতে বিষক্রিয়ার পিছনে মূলত দুটি কারণ রয়েছে। প্রথমটি হলো ফলে ব্যবহৃত কৃত্রিম রঙ এবং স্বাদ বাড়াতে রঞ্জক পদার্থ।  তার সাথে মিষ্টি স্বাদ বাড়াতে চিনির শরবত ব্যবহার করা। অন্যদিকে দ্বিতীয়টি কারণ হল, মাটির ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা দূষিত স্থানে ফলের জন্মানো।

আরেকটি ইনস্টাগ্রাম রিলে, ভারতীয় এক স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক মিরুনা বাশকার তার নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন। তিনি জানান, একটি তরমুজ খাওয়ার পর তার ফুড পয়জনিং হয়। এর পেছনে যে কারণ থাকতে পারে বলে তিনি ধারণা করেন- তরমুজ বিক্রেতারা লাভ করার লোভ থেকে ফলে ইরিথ্রোসিনের মতো বিষাক্ত ফুড কালার ব্যবহার করে। সাধারণত উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপিন থেকে তরমুজ তাদের প্রাকৃতিক লাল রঙ পায়। তবে আকর্ষণীয় করার জন্য লাল-গোলাপী রঙ তরমুজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফলগুলোতে তাজা এবং রসালো দেখিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করা হয়। এসব রঙে সীসা বা মিথানলের মতো ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান থাকতে পারে। এর ফলে জ্বর, ডায়রিয়া, বমি এবং ক্র্যাম্প বা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। এছাড়াও ফুড পয়জনিং, হজমের সমস্যা এবং এমনকিক্যান্সারও হতে পারে। 

এছাড়া যদি মাটিতে ব্যাকটেরিয়ার কারণে তরমুজে সমস্যা আসে সেটা আরও গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। গর্ভবর্তী মা, ছোট শিশুদের উপর সেই ধরনের ফল অনেক বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। অন্যান্য সাধারণ সমস্যা ছাড়াও গর্ভপাতের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে এইরকম ফল খেলে। এইজন্য ফল বাইরে থেকে এনেই সরাসরি খাওয়া যাবে না। নিজের এবং পরিবারের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ফলগুলোকে দূষণমুক্ত করার চেষ্টা করতে হবে।  

সুরক্ষার জন্য ভিনেগার দ্রবণ ব্যবহার করতে পারেন। বাটিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ  ভিনেগার নিয়ে তার ৩ গুণ পানি ব্যবহার করে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এই পানি ব্যবহার করে ফল ধুয়ে নিন। যদিও ফলের ভেতরের অংশের সব জীবাণু এর মাধ্যমে ধ্বংম করা সম্ভব নয়। এছাড়া ফল কাটার আগে এবং পরে পাত্র, কাটিং বোর্ড, ছুড়ি জীবাণু মুক্ত করতে স্যানিটাইজ করে নিন। ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ধীর করার জন্য কাটা তরমুজ ফ্রিজে রাখতে পারেন। বাসি এবং ক্ষতি সম্পন্ন তরমুজ খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৫ মে ২০২৪,/বিকাল ৫:১৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit