বাদল আহাম্মদ খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মনিরুল ইসলাম প্রকাশ নামে এক যুবককে কোনো ধরণের অভিযোগ ছাড়াই বুধবার রাতে আটক করে পুলিশ। বাইপাস সার্জারি করা মনিরুল ইসলাম প্রকাশ নামে ওই যুবক আটকের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে হাসপাতালে ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন আব্দুর ছেলে মনিরুল ইসলামকে নারায়ণপুরের বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। তাকে প্রথমে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সে অসুস্থ বোধ করলে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশ তার বাড়িতে খবর দেয়। মনিরুলের অবস্থার অবনতি হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
মনিরুল ইসলাম জানায়, পুলিশ তাকে কোনো কারণ ছাড়াই আটক করে নিয়ে যায়। তাকে বলা হয় কোথায় নিয়ে মেরে ফেলা হবে। এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থবোধ করলে পুলিশের লোকজন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। মনিরুলের বড় ভাই মো. ফারুক জানায়, তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। ২১ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটের দিন দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনের কথা কাটাকাটি হয়। জালাল উদ্দিন ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম করতে চাইলে বাধা দিলে এ ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
মনিরুল অসুস্থবোধ করলে তাকে হাসপাতালে ফেলে চলে যায় পুলিশ। পরে তারা মনিরুলের বাবাকে খবর দেয়। হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় মনিরুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ অবস্থায় প্রয়োজন থাকলেও পুলিশ ছাড়া তাকে অন্য কোথাও চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হচ্ছিলো না। পরে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
কিউএনবি/আয়শা/২৩ মে ২০২৪,/রাত ১১:১৮