নোয়াখালী প্রতিনিধি : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এক দিন আগেই বুধবার সকালে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে নোয়াখালীর ৪ গ্রামের মুসল্লিরা। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টায় দুই উপজেলার ৮টি মসজিদে একযোগে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা লুৎফুর রহমান বলেন, বড় পীর আবু মুহম্মদ মহিউদ্দীন সৈয়দ আবদুল কাদির জিলানী (রঃ) এর মতাদর্শে তৈরি হয় কাদেরিয়া তরিকা। কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী লক্ষ্মীনারায়ণপুর, হরিণারায়নপুর, বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রামের বাসিন্দারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি বছর একদিন আগে রোজা রাখেন। এছাড়াও ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে তারা প্রায় ১০০ বছর ধরে ঈদ জামাতের আয়োজন করে থাকেন।
রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফের ঈদের জামায়াতের ইমামতি করেন রহিমিয়া রশিদিয়া আল কাদেরিয়া দরবার শরীফ চট্রগ্রামের খাদেম আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, চাঁদ উঠার ওপর নির্ভর করেই রোজা রাখা এবং ঈদ উদযাপন করা হয়। পৃথিবীর আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, শুধু বাংলাদেশ ছাড়া সৌদি আরবসহ সকল মুসলিম দেশে আজ ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। এ কারণে আমরা তাদের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছি।
কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী নোয়াখালী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. সুমন বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের থেকে আমরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করি। প্রায় ১০০ বছরের বেশি হবে। বিগত বছরের তুলনায় এবারের জামাতে মুসল্লি উপস্থিতি বেশি হয়েছে।